এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলবেন ইমরান, সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক
পাকিস্তানের এই দাবিকে একেবারে খারিজ করে ভারত পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বহুবার বলা হয়েছে-- আলোচনা শুরু করতে হলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে প্রকৃষ্ঠ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।
ইসলামাবাদ ও নিউইয়র্ক: কাশ্মীর নিয়ে ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান। খবরে প্রকাশ, আগামী মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর বিষয়টি উত্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদ। এর আগে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। তাই এবার সাধারণ সভায় কাশ্মীর নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে আক্রমণ করার ভাবনাচিন্তা করছে পাক প্রশাসন। খবরে প্রকাশ, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখার কথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। সেখানই তিনি কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। শুধু তাই নয়, ওই সম্মেলনের সময় ভারত তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির সঙ্গে জোর তদ্বির শুরু করতে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি মার্কিন সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইমরান জানান, ভারতের সঙ্গে আর কোনও আলোচনা চাইবে না পাকিস্তান। কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, ইসলামাবাদের তরফে একাধিকবার শান্তি প্রক্রিয়া চালু করার চেষ্টা করা হলেও, প্রতিবার তা প্রত্যাখ্যান করেছে নয়াদিল্লি। যদিও, পাকিস্তানের এই দাবিকে একেবারে খারিজ করে ভারত পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বহুবার বলা হয়েছে-- আলোচনা শুরু করতে হলে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে প্রকৃষ্ঠ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। সাক্ষাৎকারে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের জন্য ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান। সেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভারতের এই পদক্ষেপের ফলে দুই পরমানু-শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে না সামরিক সংঘাত বেড়ে যায়। ইমরান বলেন, ভারতের সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ নেই। এতদিন আমিই কথা বলেছি। দুর্ভাগ্যবশত, পিছনে তাকালে দেখি -- শান্তি ও আলোচনার জন্য আমার যাবতীয় প্রস্তাব ওরা (ভারত) তোষণ হিসেবে দেখেছে। এর থেকে বেশি কিছু করতে পারব না। যদিও ইমরানের যাবতীয় দাবি খারিজ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিঙ্গলা। তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, যতবার আমরা শান্তির উদ্দেশ্যে এগিয়ে গিয়েছি, আমাদের মূল্য চোকাতে হয়েছে। আমরা চাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তান গ্রহণযোগ্য, যথাযথ ও চোখে পড়ার মতো ব্যবস্থা নিক। পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ইস্যুটি হল ভারতের একেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়। ফলে, পাকিস্তানকে একটাই পরামর্শ--- যত দ্রুত সম্ভব এই বাস্তবটা স্বীকার করে নেওয়াই ভাল। এই পরিস্থিতিতেই, বৃহস্পতিবার পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজোয়ার সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করেন ইমরান খান। সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয় দুজনের মধ্যে। ইতিমধ্যেই, তিনবছরের জন্য সেনাপ্রধান পদে বাজোয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন ইমরান।