Milkha Singh: ১০ কিলোমিটার পথ দৌড়ে স্কুলে যাতায়াত, মিলখার অজানা কাহিনি

মিলখা সিংহ

১৯২৯ সালের ২০ নভেম্বর গোবিন্দপুরে (যা এখন পাকিস্তানে) এক শিখ পরিবারে জন্ম হয়েছিল মিলখা সিংহের।

শৈশব অতিবাহিত হয়েছিল কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে। দেশভাগের পর মিলখা সিংহ হারিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা ও ভাই-বোনদের।

ছোট থেকেই দৌড়ের একটা উৎসাহ তাঁর মধ্যে ছিল। বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব ছিল ১০ কিলোমিটার। এই পথটা তিনি দৌড়েই যাতায়াত করতেন।

চারবারের চেষ্টার পর ১৯৫১-তে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। যোগদানের সময় তিনি ক্রস-কান্ট্রি রেসে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন।

অ্যাথলিট হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার উৎসাহ প্রবল ছিল মিলখার। তিনি চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে দৌড়ের অনুশীলন করতেন।

১৯৫৬-তে মেলবোর্নে অলিম্পিকে তিনি প্রথমবার ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটারে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৫৮-তে কটকে আয়োজিত জাতীয় ন্যাশনাল গেমসে ২০০ ও ৪০০ মিটারে রেকর্ড গড়েন তিনি।

ওই বছরই টোকিওতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে ২০০ ও ৪০০ মিটারে সোনার পদক জেতেন মিলখা সিংহ।

১৯৫৮-তে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসে ৪০০ মিটারে সোনা জেতেন। কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে প্রথম সোনার পদক এনে দেওয়ার কৃতিত্ব মিলখা সিংহর।

১৯৬০-এ রোম অলিম্পিক গেমসে ৪০০ মিটার দৌড়ে অসাধারণ পারফর্ম করেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেকেন্ডের ভগ্নাংশে পিছিয়ে গিয়ে ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া হয় তাঁর। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।