Brett Lee: ৯ বছর বয়সেই মা-বাবাকে জানিয়েছিলাম আমি দেশের জার্সিতে খেলব: ব্রেট লি
Brett Lee Update: ২০০৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, ২০০৭ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে, এরপর ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন।
সিডনি: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের (Australian Cricket Team) সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁকে। নিজের সময় বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটারদের কাছে ত্রাস ছিলেন তিনি। তাঁদের বলের গতি বিশ্ববন্দিত ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সেই ব্রেট লি (Brett Lee) শোনালেন তাঁর জীবনের এক অজানা গল্প। মাত্র ৯ বছর বয়সেই নাকি নিজের মাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলতে চেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন।
নিজের কেরিয়ারে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন লি। ২০০৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, ২০০৭ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, ২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে, এরপর ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে লি বলেছেন, '৯ বছর বয়সে আমি আমার মা বাবাকে বলেছিলাম যে আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাই। আমি ব্যাগি গ্রিন জার্সি পরতে চেয়েছিলাম। এছাড়া ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে চেয়েছিলাম আমি। আমি অনেক ছোট থেকেই দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। তবে আমার চলার পথে অনেক চড়াই উতরাই কাটাতে হয়েছে।'
ব্রেট লি অস্ট্রেলিয়ার সফলতম দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৩ ও ২০০৭ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান জার্সিতে ২০০৬ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেতাবও জিতেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ব্রেট ৭৬টি টেস্ট, ২২১টি ওয়ান ডে এবং ২৫টি বিশ ওভারের ম্যাচ খেলেছন। তাঁর আরেক ভাই শেন লিও কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ৪৮টি উইকেট নিয়েছিলেন।
তবে ব্রেটের দাবি জাতীয় দলের খেলা তাঁরা দুইজন নয়, বরং তাঁদের ছোটভাই গ্রান্টই নাকি তিনজনের মধ্যে সবথেকে প্রতিভাবান ছিলেন। তাহলে ঠিক কী কারণে দুই ভাই জাতীয় দলের হয়ে খেললেও, গ্রান্ট সেই সুযোগ পাননি? ব্রেট জানান, 'শেন এবং আমি, দুইজনেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছি। তবে আমার ছোট ভাই গ্রান্ট সবথেকে প্রতিভাবান ছিল। আমার এবং শেনের সম্মিলিতভাবে যা দক্ষতা ছিল, গ্রান্ট তার থেকেও বেশি প্রতিভাবান ছিল। তবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর গ্রান্ট আমাদের জানায় যে ও আর ক্রিকেটটা ঠিক উপভোগ করতে পারছে না। তখন শেন ওকে পরামর্শ দেয়। শেন বলে ক্রিকেটটা উপভোগ না করলে, খেলা ছেড়ে দাও। সেইমতোই গ্রান্ট খেলাটা ছেড়ে দেয়।'