EBFC vs MSC: 'জেতা উচিত ছিল', ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ড্র করে ফরোয়ার্ডদের দিকেই আঙুল তুললেন মহামেডান কোচ চেরনিশভ
Mohammedan Sporting: বিগত চার ম্যাচে থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় ১২ নম্বরে রয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং।
কলকাতা: এক শিবিরে যখন হতাশার অন্ধকার নেমে এসেছে, অন্য শিবিরে তখনও আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা ডার্বি গোলশূন্য হওয়ার পর দুই শিবিরের চেহারা এ রকমই।
এ দিন মহমেডান এসসি-র বিরুদ্ধে (East Bengal vs Mohammedan Sporting) প্রথমার্ধে দুই নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার নন্দকুমার শেকর ও নাওরেম মহেশ সিং লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর প্রায় ৭৫ মিনিট (বাড়তি সময়-সহ) ন’জনে মিলে লড়াই করে দুর্দান্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল এবং নিজেদের গোল অক্ষত রাখে। এ দিনই চলতি লিগের প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে নেয় তারা। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলকে এই অবস্থায় পেয়ে ঘন ঘন আক্রমণ করেও একবারও গোলের মুখ খুলতে পারেনি মহমেডান। এই আফসোস অনেক দিনই রয়ে যাবে তাদের।
ম্যাচের পর মহমেডান কোচ আন্দ্রেই চেরনিশভ (Andrey Chernyshov) বলেন, “আটজনের বিরুদ্ধে খেলেও আমরা গোল করতে পারলাম না, ম্যাচটা জিততে পারলাম না, এটা খুবই হতাশাজনক। আমাদের জেতা উচিত ছিল। অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। বেশ কিছু ভাল ক্রস দিয়েছি। কিন্তু কখনও গোলকিপার খুব ভাল খেলেছে, কখনও আমরা ফিনিশ করতে পারিনি। এ ভাবে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। একটা দল যখন ন’জনে খেলে, অন্য দল এগারো জনে, তখন সবাই আশা করে দ্বিতীয় দলই জিতবে। আমাদের সত্যিই আজ জেতা উচিত ছিল। সে জন্যই এই ফলে আমরা খুশি নই”।
মহমেডানের রাশিয়ান কোচ চেরনিশভ তাঁর দলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে যে খুশি নন, তা তাঁর কথায় স্পষ্ট। বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে গোলের মুখে শেষ শটের ক্ষেত্রে। একটা আত্মবিশ্বাসী দল যখন আক্রমণে ওঠে, তখন তাদের ভাল ক্রস, ফাইনাল পাস এগুলো দেওয়া উচিত। কিন্তু আজ আমরা তা পারিনি। অথচ এগুলো অনুশীলন করেছি আমরা। কিন্তু ছেলেরা যদি পরপর ভুল করতে থাকে এবং তার ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস যদি হঠাৎ কমে যায়, তা হলে আরও সমস্যা বাড়ে। আমাদের ফাইনাল শটে আরও নিখুঁত হতে হবে”।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা আক্রমণে তীব্রতার বাড়ানোর জন্য একাধিক পরিবর্তন করেছিলাম। একাধিক স্ট্রাইকারও আনি। কিন্তু শেষটাই যদি ভাল না হয়, তা হলে ৪-৫ জন স্ট্রাইকার খেলিয়েও লাভ নেই। আক্রমণে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে”। ইস্টবেঙ্গলের লড়াই নিয়ে মহমেডান কোচ বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের এই ফলে খুশি হওয়া উচিত। গতবার আই লিগে একটা ম্যাচে আমাদেরও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। সেই ম্যাচে আমরা ন’জনে খেলেছিলাম এবং এ রকমই লড়াই করেছিলাম। এটা ওদের নৈতিক জয় বলা যেতেই পারে”।
ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট অর্জন করতে পেরে অবশ্য কিছুটা হলেও খুশি চেরনিশভ। বলেন, “ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের বিরুদ্ধে নেমে এক পয়েন্ট বের করে আনাটা অবশ্য খারাপ নয়। তবে এই পরিস্থিতিতে ম্যাচটা আমরা জিততে চেয়েছিলাম। তাই খুশি হতে পারছি না। তবে ফুটবলে এমন হতেই পারে। আরও খাটতে হবে আমাদের। আক্রমণের সমস্যাগুলো দূর করতে হবে”।