Indian Cricket Team: টিম ইন্ডিয়ার অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা বুমেরাং না হয়ে যায় বিশ্বকাপের আগে
Indian Cricket Team Update: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা একটা দলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার দলের এই হাল। কি অদ্ভূত না?
কলকাতা: বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) খেতাব জয়ের সম্ভাবনা কতটা? সাম্প্রতিক ফল কিন্তু খুব একটা আশার আলো দেখাচ্ছে না। এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (T20 Series) খেলছে ভারত। যেখানে ২-০ তে পিছিয়ে হার্দিকের দল। এর আগে ওয়ান ডে সিরিজেও ১টি ম্যাচ হারতে হয়েছে। অর্থাৎ শেষ পাঁচটি সীমিত ওভারের ম্যাচের মধ্যে ৩টি ম্যাচই হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা একটা দলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার দলের এই হাল। কি অদ্ভূত না?
কিন্তু কেন বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে? দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পর সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও। অনেকেই ২০০৭ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের ম্য়ান ম্যানেজমেন্ট ও দল নির্বাচনের টালমাটাল পরিস্থিতির সঙ্গেও তুলনা টানছেন। উল্লেখ্য়, সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন দ্রাবিড়ই। কোচ ছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপে নামার আগেও হাজারো পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে হেঁটেছিলেন দ্রাবিড়-চ্যাপেল জুটি। এমনকী টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে নবাগত উথাপ্পাকে ওপেনে নামিয়ে সচিনকে ব্যাটিং অর্ডারে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কুম্বলের মত স্পিনারকে একাদশে সুযােগই দেওয়া হয়নি। যার ফল, বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত।
এবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে বিরাট-রোহিতকে বসিয়ে নতুনদের হঠাৎ সুযোগ দেওয়া শুরু হল। সঞ্জু স্যাসমন, ঈশান কিষাণ, রুতুরাজরা সবাই খেলছেন। কিন্তু কেউই ধারাবাহিক হতে পারছেন না দলে। যশস্বী জয়সওয়াল টেস্টে অভিষেকে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েও ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আসেন। ভাল শুরু করেও খারাপ শট খেলে আউট হচ্ছে সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপের দেড় মাস আগেও বুমরা, কে এল রাহুল, শ্রেয়স আইয়ারের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েই গিয়েছে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হার
প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জিততে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। আশা জাগিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। আকিল হোসেনের পরিপক্ক ১৬ রানের ইনিংসই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচে। সাত বল বাকি থাকতেই দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে নিকোলাস পুরান অনবদ্য ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। হার্দিক পাণ্ড্য নেন তিন উইকেট, চাহাল নেন দুই উইকেট। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিলক ভার্মার ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে ভারতীয় দল ২০ ওভারে ১৫২/৭ রান তুলেছিল। আকিল হোসেন, রোমারিও শেপার্ড, আলজারি জোসেফ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন।