Threads: লঞ্চের ৫ দিনের মধ্যেই ১০০ মিলিয়ন সাইন-আপ! উচ্ছ্বসিত মেটা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ
Meta Threads App: ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকলে তার সাহায্যে অনায়াসেই থ্রেডসে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস- দুই ভার্সানেই এই অ্যাপ সাপোর্ট করছে।
Threads: ট্যুইটারের (Twitter Rival App) প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ থ্রেডস (Meta Threads) লঞ্চ হয়েছে গত ৬ জুলাই। আর তার ৫ দিনের মধ্যেই এই অ্যাপে ১০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ কোটি সাইন-আপ হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে থ্রেডস অ্যাপের জনপ্রিয়তা। লঞ্চের দিন কয়েক ঘণ্টার ট্রেন্ড দেখেই সেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন সাইন-আপ হয়েছিল এই অ্যাপে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে থ্রেডস অ্যাপ ডাউনলোড এবং লগ-ইনের সংখ্যা। মেটা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ জানিয়েছেন, ৫ দিনের মধ্যে কোনও রকম বিজ্ঞাপন অর্থাৎ প্রোমোশন ছাড়াও ১০০ মিলিয়ন সাইন-আপ হয়েছে থ্রেডস অ্যাপে। স্বভাবতই এ বিষয়ে যারপরনাই খুশি জুকেরবার্গ। উচ্ছ্বসিত হয়ে থ্রেডস অ্যাপে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টও করেছেন তিনি। আগামী দিনে থ্রেডস অ্যাপ পরিসংখ্যানের নিরিখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও রেকর্ড গড়বে এবং জনপ্রিয় হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। এই সাফল্যে খুশি হয়ে জুকেরবার্গ নিজেও থ্রেডসে লিখেছেন তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না যে ৫ দিনেই এমনটা হয়েছে।
থ্রেডসে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রয়োজনীয়
ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকলে তার সাহায্যে অনায়াসেই থ্রেডসে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস- দুই ভার্সানেই এই অ্যাপ সাপোর্ট করছে। টেক্সট ভিত্তিক কনভারসেশন অ্যাপ হল থ্রেডস। এখানে ৫০০ ক্যারেক্টার পর্যন্ত পোস্ট লেখা যাবে। সেই সঙ্গে লিঙ্ক, ছবি, ভিডিও পোস্ট করা যাবে। ৫ মিনিটের ভিডিও পোস্ট করা যাবে থ্রেডস অ্যাপে। ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ক্রেডেন্সিয়াল দিয়েই সব কাজ করা যাবে। ইন্সটাগ্রামের ইউজার নেমই থাকবে থ্রেডসে। এমনকি ইউজারের ফলোয়ারদেরও স্থানান্তরিত করার সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ থ্রেডসে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন।
ট্যুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ হলেও এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা ট্যুইটারে পাওয়া গেলেও থ্রেডসে নেই
- ট্যুইটারে রয়েছে হ্যাশট্যাগ, কিন্তু থ্রেডস অ্যাপে এই ফিচার এখনও পর্যন্ত নেই।
- ওয়েব ভার্সানে অর্থাৎ ডেস্কটপে ট্যুইটার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু থ্রেডস যায় না এখনও।
- ট্যুইটারে পোস্ট এডিট করা যায়, কিন্তু থ্রেডসে পোস্ট এডিট করা যায় না।
- ট্যুইটারে ডিএম বা ডিরেক্ট মেসেজ অপশন রয়েছে, থ্রেডসে নেই।
- AI generated alt text ফিচার ট্যুইটারে থাকলেও থ্রেডসে নেই।
- ট্রেডিং টপিক যেভাবে ট্যুইটারে দেখা যায়, তেমনটা নেই থ্রেডসে।
- ট্যুইটারে বিজ্ঞাপন দেখা যায়, থ্রেডসে তা যাবে না।
- বিভিন্ন ট্যুইট এমবেড করা যায়, কিন্তু থ্রেডসে এখনও সেই সুবিধা নেই।
- ট্যুইটারে ফর ইউ এবং ফলোয়িং ফিড রয়েছে। থ্রেডসে এই ফিচার নেই।
- ক্রোনোলজিকাল ফিড অপশন এনাবেল করা যাবে ট্যুইটারে, কিন্তু থ্রেডসে যাবে না।
আরও পড়ুন- গ্যাজেট প্রেমীদের প্রতীক্ষার অবসান, ভারতে হাজির নাথিং ফোন ২, দাম কত?