Maruti Suzuki WagonR: দেশে গাড়ি বিক্রিতে ১ নম্বরে Maruti Suzuki WagonR, টানা দু'বার সেরার শিরোপা
কোম্পানির পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে ২২,৮৩৬টি গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি। জুনে এই বিক্রির সংখ্যাটা ছিল ১৯,৪৪৭। মাত্র এক মাসে মারুতি সুজুকি ওয়াগনার বিক্রি বেড়েছে ৩৩৮৯টি।
নয়াদিল্লি: জুনের পর এবার জুলাই। দেশে গাড়ি বিক্রিতে ফের এক নম্বরে জায়গা করে নিল মারুতি সুজুকি ওয়াগনার(Maruti Suzuki WagonR)। হুন্ডাই ক্রেটা(Hyundai Creta)-র মতো গাড়িকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে এই 'ফ্যামিলি কার'।
কত গাড়ি বিক্রি হয়েছে?
কোম্পানির পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে ২২,৮৩৬টি গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি। জুনে এই বিক্রির সংখ্যাটা ছিল ১৯,৪৪৭। মাত্র এক মাসে মারুতি সুজুকি ওয়াগনার বিক্রি বেড়েছে ৩৩৮৯টি।
২০২০ সালের সঙ্গে তুলনা
গত বছরের জুলাইয়ের বিক্রির সংখ্যার দিকে তাকালে দেখা যাবে, মারুতির ওয়াগনারের সেলস বেড়েছে ৭০ শতাংশ। গত বছর জুলাইয়ে ১৩,৫১৩টি ওয়াগনার বিক্রি করেছিল কোম্পানি।
গাড়ির দাম ও ফিচার
গাড়ির এক্স শোরুম প্রাইস ৪,৮০,৫০০টাকা। এই দাম গাড়ির বেস ভ্যারিয়েন্টের। গাড়ির টপ মডেলের দাম ৬,৩৩,০০০ টাকা। সবদিকে পাওয়ার উইন্ডো ছাড়াও , ৭ ইঞ্চির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টে্ম রয়েছে গাড়িতে। ম্যানুয়াল এসি ছাড়াও 'কি-লেস এন্ট্রি' পাওয়া যাবে ওয়াগনারে। গাড়িতে স্টিয়ারিংয়েই দেওয়া রয়েছে ফোন কল গ্রহণ করার সুবিধা। পাঁচ আসনের এই গাড়িতে দেওয়া রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অটো ছাড়াও অ্যাপল কার প্লে। সুরক্ষার ফিচার হিসাবে রয়েছে এবিএস, ইবিডি'স, এয়ারব্যাগ। পিছনে গাড়ির অবস্থান জানতে আছে রেয়ার পার্কিং সেন্সরস।
সম্প্রতি গাড়ি বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে মারুতি। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামীণ বাজারে ৫০ লক্ষ গাড়ি বিক্রির মাইলফলক ছুঁয়েছে তারা। কোম্পানির এই সাফল্যের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব। তিনি জানান, গাড়ি বিক্রিতে গ্রামীণ ভারতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে মারুতি। ক্রেতাদের বিশ্বাসের ওপর ভর করে আজ গ্রামীণ ভারতে ৫০ লক্ষের বেশি গাড়ি বিক্রি করতে পেরেছেন তাঁরা। পরিসংখ্যান বলছে, রুরাল ইন্ডিয়ায় ১৭০০ কাস্টমাইজড আউটলেট রয়েছে মারুতির। কোম্পানির ৪০শতাংশ সেল এখন গ্রামীণ ভারত থেকে আসে।
এখানেই থেমে থাকেনি মারুতির সিনিয়র এক্সিকিউটিভের সাফল্যের কাহিনি। তিনি বলেন, ''কোম্পানির ব্যবসায় বরাবরই একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে গ্রামের গাড়ি বাজার। বহু বছর ধরে গ্রামীণ ক্রেতাদের প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করেছি আমরা। পরবর্তীকালে সেই অনুযায়ী ক্রেতাদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করেছি। একের পর এক প্রোডাক্ট এনে তাঁদের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। এখন তারই ফল পাচ্ছি আমরা।''