KMRCL: 'কাজ করতে গেলেই ধসে পড়তে পারে আরও বাড়ি', বিপজ্জনক অংশে কাজ বন্ধ রাখল KMRCL
ঘরছাড়া হতে হয় বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেনের বহু বাসিন্দাকে। কবে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অনির্বাণ বিশ্বাস ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূগর্ভস্থ মাটি অত্যন্ত দুর্বল। ফের কাজ করতে গেলে ধসে পড়তে পারে কয়েকটি বাড়ি। সূত্রের খবর, মেট্রোর কাজে বউবাজারে বিপর্যয়ের পর পুরসভাকে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে একথাই বলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, এই অবস্থায় বিপজ্জনক অংশে কাজ বন্ধ রাখল KMRCL।
১১ মে-র রাত। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে ফের ফাটল ধরে একাধিক বাড়ি থেকে ঘরছাড়া হতে হয় বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেনের বহু বাসিন্দাকে। কবে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ঠাঁই পাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাটি অত্যন্ত দুর্বল বলে বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। বউবাজারে দ্বিতীয়বার বিপর্যয়ের পর, দুর্গা পিটুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খতিয়ে দেখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের বিশেষজ্ঞরা। তারই প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভাকে। পুরসভা সূত্রে খবর,
সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গা পিটুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূগর্ভস্থ মাটি অত্যন্ত দুর্বল, পরিস্থিতি বিপজ্জনক। বউবাজার এলাকার ভূগর্ভস্থ ও মাটির ওপরের দু’টি মানচিত্রও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। যা ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মতলা থেকে শিয়ালদাগামী টানেলের যেখানে ৯ মিটার অংশের কাজ এখনও বাকি, সেখানে নতুন করে নির্মাণ করতে গেলে ধসে পড়তে পারে আরও একাধিক বাড়ি। এই অবস্থায় অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে KMRCL কর্তৃপক্ষকে।
একইসঙ্গে ওই ৯ মিটার এলাকায় অবস্থিত একাধিক বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে, এই অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে বউবাজারের বিপজ্জনক অংশে কাজ বন্ধ রাখল KMRCL। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষা সামনে চলে এসেছে। তখন জলস্তর ওপরে উঠলে ফের কাজে বিপত্তি হতে পারে। তাই ৯ মিটার অংশের কাজ অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাটি নতুন করে পরীক্ষা করবে IIT রুরকি।
অন্যদিকে, বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মধ্যে ১৬ নম্বর বাড়ি ভাঙার কাজ থমকে রয়েছে। এক্ষেত্রে এখনও বাড়ি মালিকের অনুমতি মেলেনি।