China Pneumonia In Kolkata: চিনের নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়ার হদিশ এবার কলকাতায়!
China Pneumonia Bacteria Kolkata: চিনের মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়া বাঁশদ্রোণীর দশ বছরের বালিকার শরীরে..
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: চিনের নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়ার হদিশ এবার কলকাতায়। চিনের মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে বাঁশদ্রোণীর দশ বছরের বালিকার শরীরে। এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণের শিকার হয়ে বালিকা ভর্তি পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এ।
চিনের নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়ার হদিশ কলকাতায়
গত বছর নভেম্বর মাসে চিনের শিশুদের মধ্যে রহস্যজনক নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়। সেই সংক্রমণ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ এবং আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায় সংক্রমণের কারণ মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়া। বাঁশদ্রোণীর বালিকার শরীরেও পাওয়া গেছে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়া। ধুম জ্বর, সঙ্গে প্রবল কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বালিকাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1
নতুন বছরের শুরুতেই হাজির হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 । বছরের শেষ দিনে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত দেগঙ্গার বাসিন্দা এক মহিলার। এই পরিস্থিতিতে এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চিনা নিউমোনিয়া।বাঁশদ্রোণীর নাবালিকা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জিনোম সিকোয়েন্সিং
নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য সাতটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকস-এ। সেখান থেকে জানানো হয়েছে কোনও নমুনাতেই কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1- পাওয়া যায়নি। ভারতে JN.1 নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হলেও এখনই টিকা নিয়ে হুড়োহুড়ি করার প্রয়োজন নেই।
'যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি..'
ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে INSACOG প্রধান এনকে অরোরা জানিয়েছেন, 'যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি তাঁদের কোভিড থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা নেওয়া উচিত। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যাঁরা এমন ওষুধ নেন যার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাঁদের সাবধানী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এমন ব্যক্তিরা যদি এখনও কোনও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তাঁরা অবশ্যই সেটা নিন, এখনই কোনও টিকার প্রয়োজন নেই।'
আরও পড়ুন, 'মমতা না থাকলে...একথা বলেন কী করে?' সুদীপকে আক্রমণ তাপসের
প্রসঙ্গত, রাজ্যেও করোনা-উদ্বেগ। দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাতেও বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গোটা দেশে একদিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৫। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বাংলাতেও অ্য়াক্টিভ কেস বেড়েছে। আরও ৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বে়ড়ে হয়েছে ৭৩।