(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Raj Bhavan: 'আচার্যের পর উপাচার্যই সব', রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
Governor: ফের সামনে এল রাজ্য-রাজভবন সংঘাত, এবারও মাঝে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজভবনের (Raj Bhavan) নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ফের শুরু বিতর্ক। ফের সামনে এল রাজ্য-রাজভবন সংঘাত, এবারও মাঝে রয়েছে বিশ্ববিদ্যলয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কী রয়েছে?
রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আচার্যের পর উপাচার্যই (vice chancellor) সব, সরকারকে মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।' আরও বলা হয়েছে, 'আধিকারিকদের সরকারি নির্দেশ মেনে চলার পরিবর্তে উপাচার্যর নির্দেশ মানতে হবে। উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কর্তা, তাঁর নির্দেশ মেনে চলতে হবে সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে।' এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত।
রাজ্য সরকারের যত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশ মানার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। উপাচার্য এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্য়ালয়কে রাজভবনের নিয়মাবলী মেনেই কাজ করতে হবে। এতদিন ধরে নানাভাবে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চলছিল। এবার সেটা আরও একধাপ বাড়ল।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে উপাচার্যের নির্দেশই মানতে হবে। রেজিস্ট্রার এবং সহ উপচার্যদের সেই নির্দেশ মেনেই কাজ চালাতে হবে। এমনটাই বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। তা ঘিরেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রামে গিয়ে সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক শূন্যপদ রয়েছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সহ একাধিক আধিকারিককে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ মেনে বলা হয়েছে রাজ্য সরকার এমন করতে পারেন না।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (University) স্বশাসনে হাত দেওয়া উচিত নয়। ইউজিসি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী এমনটাই হওয়া উচিত। আচার্য কখনও উপাচার্য হিসেবে কাজ করতে পারেন না, করা উচিত না। যদি এমন হয় পড়ুয়ারা ডিগ্রি শংসাপত্র পাচ্ছেনা না, অসুবিধা হচ্ছে, চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, একমাত্র সেইরকম পরিস্থিতিতেই আচার্য শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি নয়, কমও নয়।' সূত্রের খবর, এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রীও ক্ষুব্ধ বলে শোনা যাচ্ছে। |
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, 'রাজ্যপাল হচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু রজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে টাকা দেন তাতে বিশ্ববিদ্যালয় চলে না। রাজ্য সরকারগুলিকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের বেতন দেয় ও অন্যান্য খরচ দেয়। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে না মেনে উপাচার্যদের উপায় নেই। রাজ্যপাল কীভাবে একথা বলছেন জানি না। রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে থাকে, সে ভালর জন্য হোক বা মন্দের জন্য হোক।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এটাই তো আইন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান, আচার্যের পরেই। তাঁর বিশেষ কিছু অধিকারও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আধিকারিক তাঁর কথা শুনতেই বাধ্য। আধিকারিকরা সরকারি কোনও নির্দেশ এলে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া কিছুই করতে পারেন না।'
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের দোরগোড়ায় দলবদল, বিজেপিতে প্রাক্তন TMC বিধায়ক