Kolkata News: ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কলকাতায়, এবার বাইপাসের ধারে আনন্দপুরে, গ্রেফতার ২
Arms Recovered: আগ্নেয়াস্ত্র সমেত আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার ২ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে এক মহিলাও। ধৃত ২ ব্যক্তি হুগলির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

আবির দত্ত, কলকাতা : কলকাতায় ফের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, এবার আনন্দপুরে। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয়েছেন ২ জন। ধৃত ২ জনই হুগলির বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা এবং একজন পুরুষ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার প্রায় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অভিযানে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, বেশ কিছু গুলিও উদ্ধার হয়েছে। তবে তার পরিমাণ এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলির পরিমাণ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি এসটিএফ কর্তৃপক্ষ।
আনন্দপুরের নোনাডাঙা অঞ্চল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে এই ২ জনকে। বাইপাসের ধারে বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন এই এলাকা সাধারণত ফাঁকাই থাকে। কম গাড়ি চলাচল করে। বেশ কিছুটা দূরে দূরে রয়েছে বসতি। সেভাবে পায়ে হেঁটে লোকজন এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন না। বেশিরভাগ সময় শুধু গাড়িতেই যাতায়াত করা হয়। যেহেতু এই এলাকা বেশিরভাগ সময়েই শুনশান থাকে, তাই কি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য এই অঞ্চলকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল? এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলি ইম্প্রোভাইজড। অর্থাৎ অন্যত্র তৈরি করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। যে ২ জনকে গ্রেফতার করছে তাঁরা নিজেরাই এইসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবেন, তেমন কোনও উদ্দেশ্য ছিল নাকি মোটা টাকার বিনিময়ে অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যেখান থেকে আবার এইসব আগ্নেয়াস্ত্র চলে যেত অন্য জায়গায়- এই সব দিকই তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। কোথায় এইসব অস্ত্র তৈরি হয়েছিল? কারা তৈরি করেছিল? এই পিছনে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে সবই জানার চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি এটাও জানার চেষ্টা চলছে যে এই এলাকা দিয়ে কি আগেও এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে নাকি এটাই প্রথম? আশপাশের বসতি এবং কিছুটা দূরে থাকা অফিস পাড়ার কেউ এর সঙ্গে যুক্ত কিনা সেই দিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর শিয়ালদার বৈঠকখানা বাজারে উদ্ধার হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র। এবছরের শুরুতেই ২৭ জানুয়ারি বৈঠকখানা রোড থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। গত ১৭ মার্চ শিয়ালদা স্টেশনে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতারও হচ্ছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার অন্যান্য জেলার বাসিন্দা। স্বভাবতই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর পাশাপাশি এসটিএফ কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে যে আগে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে নতুন করে গ্রেফতার হওয়া ২ জনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা। জোরকদমে চলছে তদন্ত।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
