Kolkata Metro: ফের মেট্রো বিভ্রাট, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে পরিষেবা বন্ধ এই অংশে
Kolkata Metro Railway :থার্ড লাইনে সমস্যার জেরে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মেট্রো চলাচল বন্ধ এই অংশে..
কলকাতা: ফের মেট্রো বিভ্রাট। বরানগরে থার্ড লাইনে সমস্যার জেরে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা (Metro service)। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মেট্রো চলাচল বন্ধ নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে (Noapara Dakshineswar route)। দুপুর ১ টা ৫২ থেকে নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর আপ-ডাউন দুই দিকেই মেট্রো চলাচল বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তারা।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি দেখছেন। যেহেতু থার্ড লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ যদি না নিতে পারে মেট্রো, তাহলে কোনওভাবেই সেই লাইনে মেট্রো চালানো সম্ভব হয় না। তাই পুরো বিষয়টিই ঠিক করতে কিছুটা সময় লাগছে, এমনটাই বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও যখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন দেখা গিয়েছিল, প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছিল, এবং মেট্রো পরিষেবা তার পর স্বাভাবিক হলেও মেট্রো পরিষেবায় তার জের বইতে হয়েছিল রাত অবধি। আজকেও কি সেই একই পরিস্থিতি পুনরায় ঘটবে ? ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শেষ অবধি পাওয়া খবরে, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মেট্রো পরিষেবা এখনও নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণশ্বের পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। তবে নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ-নিউগড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কতক্ষণ এই পরিস্থিতি থাকে, সেটাই এখন মেট্রো কর্তারা নজরে রাখার চেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নোয়াপাড়া থেকে বরানগরের আপ লাইনের থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হয়েছিল। যার জেরে ওই অংশে মেট্রো চলাচল সম্ভব হচ্ছিল না। ওই ঘটনার জেরে দিন কয়েক আগেই দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই পরিষেবা বন্ধ ছিল। আর এদিন ফের মেট্রো বিভ্রাট কলকাতায়।
আরও পড়ুন, 'পুলিশের ডাকমাস্টার'-কে ফাঁকি দিতেই কি বেপরোয়া গতি নেয় লরি ? জাতীয় সড়কে মৃত ২
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছেন হাওড়া ময়দানের ব্য়বসায়ীদের একাংশ। হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের পাশে, বড়সড় পার্কিং তৈরির কথা ভাবছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সমস্য়া দানা বেঁধেছে এই এলাকার, শ্রী মার্কেটের ব্য়বসায়ীদের নিয়ে। মেট্রো প্রকল্প শুরুর সময় ১২৯টি দোকান অন্য়ত্র সরানো হয়। তখন বলা হয়েছিল, ৩ বছরের জন্য় সরানো হচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্য়েক দোকান মালিককে ৫৫ হাজার টাকা ও দোকানের এলাকা অনুযায়ী প্রতি স্কোয়ার ফিটে ২৫০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, মেট্রোর রুট বদল,তারপর কোভিড- সহ বিভিন্ন কারণে, ৩ বছর এখন ১৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্য়ে পার্কিং তৈরির জন্য়, ব্য়বসায়ীদের এই জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য়ত্র নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে ব্য়বাসায়ীদের একাংশ।