SSC Case: শিক্ষকদের বেতনের কী হবে ? কী সিদ্ধান্ত সরকার-চাকরিহারা বৈঠকে
SSC Case Update: OMR শিটের মিরর ইমেজ থেকে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবি নিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিহারারা।

কলকাতা: বিকাশ ভবনে সরকার-চাকরিহারাদের আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষ। কী হবে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার বেতন? কীভাবে চলবে তাঁদের জীবন। এবিষয়ে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এক চাকরিহারা জানান, "বেতন চালু থাকবে কিনা আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। তবে স্যালারি পোর্টাল খোলা হয়েছে, আমরা দেখেছি। বেতন সাবমিট হবে।'' যদিও বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বেতন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মানা হবে।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। SSC-র ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিয়্ছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ (টেন্টেড), তাঁদের চাকরি বাতিলের সঙ্গে বেতনও ফেরত দিতে হবে। যাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার বেতন নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। ঘর-সংসার রয়েছে সবারই। রয়েছে আর্থিক বোঝাও। এই অবস্থায় বেতন বন্ধ হলে কী করবেন তা বুঝেই উঠতে পারছেন না তাঁরা। এদিন সরকার-চাকরিহারা বৈঠক শেষে এক চাকরিহারা জানান, "বেতন চালু থাকবে কিনা আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।'' যদিও এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে মানা হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়। নাহলে তা আদালত অবমাননা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, যেদিন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়, সূত্রের খবর, সেদিনই এই পোর্টাল বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার, রাজ্য়জুড়ে চাকরিহারাদের তরফে যে DI অফিস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তার অন্য়তম কারণ ছিল, এই পোর্টাল বন্ধ হয়ে যাওয়া। এরইমধ্য়ে, বুধবার বিকেলেই খুলে দেওয়া হয় পোর্টাল। সেখানে চাকরিহারাদের নামও রয়েছে। এই প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মধ্যে কারও কারও আশার আলো রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপির ৪৭ নম্বর পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে যাঁরা আগে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বা স্বশাসিত সংস্থায় কাজ করে করতেন, তাঁদের আগের সংস্থায় চাকরি চালিয়ে যাওয়ার জন্য, আবেদনের অধিকার থাকবে। তাঁদের আবেদনপত্র, ৩ মাসের মধ্যে খতিয়ে দেখতে হবে, নিয়োগকারী সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। ওই সব প্রার্থীদের আগের পদে কাজ শুরু করার অনুমতি দিতে হবে। চাকরি ছাড়া এবং পুনরায় যোগদানের মধ্যেকার সময় ব্রেক ইন সার্ভিস হিসাবে বিবেচিত হবে না। চাকরিতে তাঁদের সিনিয়রিটি ও অন্যান্য প্রাপ্য অটুট থাকবে এবং তাঁরা বেতন বৃদ্ধির জন্যও বিবেচিত হবেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
