Suvendu Adhikari: গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গেছে: শুভেন্দু
Suman De Sandeshkhali FIR:হাইকোর্টে জয়, এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ। স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাইকোর্টে জয়, এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ। স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আক্রমণ ভোঁতা হয়ে গেছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাই', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট বিরোধী দলনেতার।
After granting bail to @BanglaRepublic Journalist; Shri Santu Pan, now the Hon'ble Calcutta High Court has given relief to Senior Vice President of @abpanandatv; Shri Suman Dey, by staying the investigation procedure.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 26, 2024
I welcome the verdict which has nullified the attack on the… pic.twitter.com/gWTgbMYGxm
কী ঘটল?
সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপর যে মামলা করা হচ্ছে, তাতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অস্বস্তিতে পড়ল সরকার ও পুলিশ। সরাসরি কলকাতা হাইকোর্ট জানাল, সন্দেশখালি থানায় এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র বিরুদ্ধে যে এফআইআর হয়েছিল, তার তদন্তের উপর আগামী ৩ মাস অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। অর্থাৎ এই এফআইআরের ভিত্তিতে সন্দেশখালি থানার পুলিশ কোথাও কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। ৪১(এ) ধারায় নোটিস পাঠিয়ে এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে ডেকে পাঠাতে পারবে না। পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ উঠে এসেছে হাইকোর্টের নির্দেশে। এই মামলায় যে দুটি ধারা দেওয়া হয়েছিল, সেই দুটি ধারা আদৌ এই অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও ব্যাখ্যা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তৃতীয়ত এটিও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে কোথাও কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এবিপি আনন্দ বা তার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে কোনও কাজ করেননি, তিনি কোনও খবর সম্প্রচার করেননি। অর্থাৎ খবর সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এবিপি আনন্দ যে সৎ ছিল, সেটিও স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আর যা...
রাজ্য এটা অস্বীকার করতে পারবে না যে, চ্যানেল সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে বারবার সম্প্রচার করেছে, মন্তব্য করেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে এফআইআর দেখতে চান তিনি।
'রাত ৮টায় প্রথম সম্প্রচারিত হয়, আর ওইদিন রাত থেকেই ভুলস্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করে নতুন সংবাদ পরিবেশনা শুরু হয়', আদালতে সওয়াল আইনজীবী রত্নাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়ের।
'বারবার যদি কেউ অবস্থান স্পষ্ট করে ক্ষমা চায়, তাহলে তাঁর যে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়', মন্তব্য করেন বিচারপতি চন্দ। 'অযথা কেউ কেন তদন্তের সম্মুখীন হবেন?', এর পর প্রশ্ন ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন:দিনে-রাতে মেঘলা আকাশ,কেমন থাকবে ২ মেদিনীপুরের আবহাওয়া?