দুর্গাপুজোয় পাঁঠাবলির সময় ভয়ে দোতলার বারান্দায় লুকিয়ে পড়তাম: শুভাশিস
ছোটবেলার পুজো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবিপি লাইভের কাছে স্মৃতির ঝুলি উপুড় করে দিলেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়

কলকাতা: ছোটবেলার পুজো কাটত খাস কলকাতায়। উত্তর কলকাতার মামার বাড়িতে নিয়ম মেনে মহা সমারোহে দুর্গাপুজো হত। বোধন থেকে বিসর্জন, প্রত্যেক আচার অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন তিনি। কেবল একটা নিয়মে ভয় পেয়ে যেতেন তিনি। কী সেই নিয়ম? ছোটবেলার পুজো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এবিপি লাইভের কাছে স্মৃতির ঝুলি উপুড় করে দিলেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
মামার বাড়ির ঠিকানা ছিল উত্তর কলকাতার কৈলাস বোস স্ট্রিটের চাটুজ্যে বাড়ি। শুভাশিস বলছেন, 'যখন থেকে চোখ ফুটেছে, আমি মামারবাড়ির পুজো দেখে আসছি। ওখানেই প্রত্যেক বছর ৪টে দিন কাটত। এখনও পুজোর মধ্যে একটা দিন মামার বাড়ি যাই, অঞ্জলি দিই। যতদিন না স্বাধীনভাবে পুজো দেখতে বেরিয়েছি, পুজোর সমস্ত স্মৃতিই ছিল মামারবাড়িকে ঘিরেই। এরপর বিভিন্ন এলাকার, বিভিন্ন জায়গার পুজো।'
মামারবাড়ির পুজোয় কোনও বিশেষ রীতির প্রচলন ছিল? শুভাশিস বলছেন, 'সমস্ত রীতিনীতি মেনেই মামারবাড়ির পুজো হয়। একসময় পাঁঠাবলি হত। এখন অবশ্য সেটা বন্ধ। ছোটবেলা থেকে যখনই দেখতাম, ছাগলটাকে হাঁড়িকাঠে রাখছে, আমি ছুট্টে ওপরে চলে যেতাম। তারপর দোতলার রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে বা জানলার জাফরি দিয়ে উঁকি মেরে দেখতাম। অদ্ভুত একটা কৌতুহলও ছিল। যে মুহুর্তে দেখতাম, হাঁড়িকাঠে ছাগলের গলাটা দিয়েছে, আর খাঁড়াটা তুলছে, আমি সেখান থেকেও পালিয়ে যেতাম। দেখতে পারি না আমি ওইরকম বলি। তবে এখন আর পাঁঠাবলি হয় না। আখ, ফল বা কুমড়ো বলি হয় নিয়মরক্ষা করতে। বাকি সমস্ত নিয়ম মেনেই পুজো হয় এখনও।'
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে শুভাশিস অভিনীত নতুন ছবি 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী'। তাঁর কেরিয়ারে এই প্রথম নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারস প্রযোজিত এটিই প্রথম বাংলা ছবি যেটি মুক্তি পাচ্ছে টেলিভিশন ও ওটিটিতে। শুভাশীষের কেরিয়ারেও এই অভিজ্ঞতা প্রথম। অভিনেতা বলছেন, 'আমার ছবি এই প্রথমবার ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে। বলতেই কেমন যেন অবাক লাগছে যে আমার ছবি প্রথম দেখা যাবে ওটিটিতে। আমার কেরিয়ারে অন্তত একটা ওটিটিতে রিলিজ করছে। ভবিষ্যতে কী হবে অবশ্য জানি না।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
