Anirban Chakrabarti Exclusive: 'বাঁদুরে রঙে ভয়, বাজার ঘুরে কিনে আনতাম নতুন পিচকারি'
Anirban Chakraborty Exclusive: এই বছর রঙ ছোঁয়া হয়নি কাজের ব্যস্ততায়। দোলের দিন দর্শকদের জন্য উপহার সাজিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু নিজে আর বিশেষ করে কাটানো হল না দিনটা।
কলকাতা: এই বছর রঙ ছোঁয়া হয়নি কাজের ব্যস্ততায়। দোলের দিন দর্শকদের জন্য উপহার সাজিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু নিজে আর বিশেষ করে কাটানো হল না দিনটা। ছোটবেলাটা কিন্তু এমন ছিল না মোটেই। রোদ ওঠার আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত রঙ খেলার বায়না। সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল.. বড্ড দেরি হয়ে যাচ্ছে যে.. শৈশবের দোল আক্ষরিক অর্থেই ছিল রঙিন। আজ, রঙের উৎসবের শেষবেলায় এসে ছোটবেলার সেই দোলের স্মৃতি হাতড়ালেন অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborti)।
আজ মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি 'দ্য একেন'-এর টিজার। প্রিয় একেন চরিত্রকে বড়পর্দায় দেখা অনুরাগীদের কাছে উপহার ও বটেই। নিজের ছবি নিয়ে উচ্ছসিত অনির্বাণও। এসভিএফের তরফ থেকে মুক্তি পাওয়া টিজার যেন দোলের উপহার। কিন্তু আজকে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে অভিনেতাকে। অনির্বাণ বললেন, 'আমি কখোনোই খুব বেশি ভিড় পছন্দ করি না। দোল উপলক্ষ্যে যেখানে যেখানে উৎসবের আয়োজন হয়, আমি খুব একটা যাই ও না। বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবেই দোলটা কাটাই। ঘনিষ্ঠ কারও বাড়িতে একটু আবির খেলা, গল্প আর খাওয়াদাওয়া, আমার প্রতিবছর এভাবেই দোল কাটে। তবে এই বছরটা অন্যরকম কাটল। কাজে ব্যস্ত ছিলাম বলে আবীর ছুঁতেও পারিনি।'
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে জমাট রহস্য, সমাধান করবেন 'একেন' অনির্বাণ, প্রকাশ্যে টিজার
খ্যাতি আর ব্যস্ততায় কার্যত বেরঙ হতে বসেছে রঙের উৎসব! কেমন ছিল অনির্বাণের ছোটবেলার দোল? অভিনেতা বলছেন, 'আমার শৈশব কেটেছে বজবজে। ছোটবেলায় দোলের আগেই বাজারে বেরিয়ে পড়তাম। প্রত্যেক বছর নতুন ধরণের পিচকিরি আসত। বাজার খুঁজে সেগুলো কিনে আনতাম। তারপর বাড়িতে এসে, তাতে জল ভরে চলত রিহার্সাল। পরের দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যেত আমার বায়না। এখনই রঙ খেলব। বাবা-মা বোঝাতেন, রোদ উঠলে তারপর বেরোতে হয়। আমি খুব একটা দুরন্ত ছিলাম না নয়। বাড়িতে বোঝানো হত, রঙ গাঢ় করে গুলতে হয়, তাতে বেশিক্ষণ থাকবে। সেই কথা শুনে প্রতিবার আধ বালতি জলে পুরো রঙটাই গুলে ফেলতাম আমি। বুঝতাম না, বড়রা এটা বলত যাতে তাড়াতাড়ি রঙ শেষ হয়ে যায়।'
ছোটবেলায় আবির ভালোলাগত, কিন্তু বাঁদুরে রঙকে বেজায় ভয় ছিল তাঁর। অনির্বাণ বলছেন, 'রূপোলি বা ধাতব রঙকে আমার ভীষণ ভয় ছিল। কেউ মাখাতে আসা তো দূরের কথা, অমন রঙ কেউ মেখে ঘুরছে দেখলেই ভয় পেয়ে যেতাম। আর হ্যাঁ, আরও একটা আকর্ষণ ছিল, রঙিন মঠ। খাবারের গায়ে ওই রঙ বেশ লাগত।'