Asha Bhosle Update: 'এখনও মঞ্চে ওঠার আগে ভয় করে আশাজীর!' গল্প শোনালেন কুমার শানু
মাত্র বছর ৪-৫ আগের ঘটনা। একসঙ্গে মঞ্চে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তাঁদের। মঞ্চে ওঠার আগে শুভেচ্ছা জানাতে হাত বাড়ালেন কুমার শানু। অপরদিকে আশা ভোঁসলে
কলকাতা: মাত্র বছর ৪-৫ আগের ঘটনা। একসঙ্গে মঞ্চে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তাঁদের। মঞ্চে ওঠার আগে শুভেচ্ছা জানাতে হাত বাড়ালেন কুমার শানু। অপরদিকে আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। কুমার শানু (Kumar Shanu) অভিবাদন জানাতে হাত ধরে দেখলেন, বরফের মতো ঠাণ্ডা আশা ভোঁসলের হাত! 'সুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চে এসে অজানা গল্প ভাগ করে নিলেন সঙ্গীতশিল্পী।
সঙ্গীতের রিয়্যালিটি শো 'সুপার সিঙ্গার'-এর এই সিজনে বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন কুমার শানু (Kumar Shanu), কৌশিকী চক্রবর্তী(Kaushiki Chakraborty) ও সোনু নিগম (Sonu Nigam)। সঞ্চালকের ভূমিকায় রয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত (Jissue Sengupta)। বিচারকের আসনে বসেই আশা ভোঁসলের সঙ্গে কাটানো এক মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিলেন কুমার শানু। বললেন, 'খুব বেশি হলে ৫-৬ বছর আগের কথা। আমার আর আশাজীর স্টেস পারফরম্যান্স করার কথা একটি অনুষ্ঠানে। আশাজী মঞ্চে ওঠার আগে আমি অভিবাদন জানাতে ওনার দিকে হাত বাড়ালাম। আশাজীর হাত ধরে দেখি বরফের মতো ঠাণ্ডা। আমি প্রশ্ন করলাম, আপনার হাত এত ঠাণ্ডা কেন আশাজী? উনি বললেন, 'মঞ্চে ওঠার আগে ভয় করে।' আমি অবাক হয়ে বললাম গান গাইতে মঞ্চে যেতে এখনও আপনার ভয় করে! উনি বললেন, 'যতদিন ভয় করবে, যতদিন হাত ঠাণ্ডা হবে, ততদিন আমি সঙ্গীতশিল্পী থাকব। যেদিন হাত ঠাণ্ডা হবে না, ভয় করবে না, সেদিন থেকে আমি আর শিল্পী থাকব না।'
মঞ্চে উপস্থিত সবাই অবাক সেই গল্প শুনে, বাকরুদ্ধ যীশুও। কুমার শানু বললেন, 'সুতরাং, ভয় পাওয়া জরুরি'। হাততালিতে ফেটে পড়ল মঞ্চ।
আরও পড়ুন: টলিউডে শাহরুখ যোগ? 'রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট'-কে প্রস্তাব টিম 'কিংবদন্তি'-র
এর আগেও একাধিকবার কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে অজানা গল্প প্রকাশ্যে এনেছেন কুমার শানু। বাপ্পি লাহিড়ী স্পেশাল এপিসোডে সঙ্গীতশিল্পীতে নিয়ে একটি গল্প শোনান শানু। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে গান রেকর্ডিং। যথাসময়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছি আমি। ১০ মিনিটের মধ্যেই বাপ্পিদা চলে এলেন। এসেই কলাকুশলীদের প্রশন করলেন, ট্র্যাক তৈরি আছে? তাঁরা উত্তর দিল, কেবল মুখরাটুকুই তাঁদের দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তাই সেটুকুর ট্রাক তৈরি হয়েছে। আমি তো শুনে অবাক। গান গাইতে এসেছি অথচ গানই তৈরি নেই! আমি বললাম, বাপ্পিদা, গান তৈরি হলে আমি আসব না হয়। সেটা ওনাকে বলাতে বাপ্পিদা বললেন, 'না শানু, তুই গেলে তোকে আর পাওয়া যাবে না। আমায় ১০ মিনিট দে। ওখানে বসে সত্যিই ১০ মিনিটে উনি অন্তরা বানিয়ে ফেললেন। তারপর একটা কর্ডের ওপর গেয়ে গানটা রেকর্ড করে দিলেন। তারপর আমায় গান শেখাতে শুরু করলেন। এইভাবেই কাজ করতেন বাপ্পি লাহিড়ী।'