Lata Mangeshkar Demise: ইন্দৌরের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত লতা মঙ্গেশকরের গানের ৭ হাজার ৬০০ বিরল গ্রামোফোন রেকর্ড
Lata Mangeshkar Demise: গানের পাশাপাশি, ওই জাদুঘরে কিংবদন্তির সঙ্গে যুক্ত ফটোগ্রাফ এবং বইও রয়েছে, যিনি ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ সালে ইন্দৌরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ইন্দৌর: মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরের (Indore of Madhya Pradesh) একটি মিউজিয়ামে (Museum) সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) গানের ৭ হাজার ৬০০টি দুর্লভ গ্রামোফোন রেকর্ডের (rare gramophone records) সংগ্রহ রয়েছে। ২০০৮ সালে পিগদম্বর অঞ্চলে এই ১৬০০ বর্গফুট জমির ওপর মিউজিয়াম তৈরি করেন সুমন চৌরাসিয়া। রবিবার লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেন সুমন চৌরাসিয়া (Suman Chourasia)।
এক জাতীয় সংবাদ সংস্থায় তিনি বলেন, 'বসন্ত পঞ্চমী একদিন পরেই লতা দিদির প্রয়াণ, আমার মতো লক্ষ লক্ষ সঙ্গীত প্রেমীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ২০১৯ সালে লতা দিদির সঙ্গে আমার শেষবার দেখা হয় এবং তারপর করোনা অতিমারীর জন্য আর সাক্ষাৎ সম্ভব হয়নি।'
চৌরাসিয়ার কথায় ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি লতা মঙ্গেশকরের গানের গ্রামোফোন রেকর্ড সংগ্রহ করা শুরু করেন। গর্বের স্থান, 'লতা দীনানাথ মঙ্গেশকর গ্রামোফোন রেকর্ড মিউজিয়াম'-এ যে সংগ্রহের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬০০টি গ্রামোফোন রেকর্ডে।
সুমন চৌরাসিয়ার কথায়, 'লতা দিদি প্রায় ৩২টি ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় গান গেয়েছেন। তাঁর অনেক বিরল গানের রেকর্ডও আছে সংগ্রহে।'
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: নীরবতা পালন সুর সম্রাজ্ঞীর উদ্দেশে, লতা মঙ্গেশকরকে রাজ্যসভায় শ্রদ্ধা নিবেদন
গানের পাশাপাশি, ওই জাদুঘরে কিংবদন্তির সঙ্গে যুক্ত ফটোগ্রাফ এবং বইও রয়েছে, যিনি ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯২৯ সালে ইন্দৌরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
২৮ দিনের লড়াই শেষ হয় গতকাল। চিরতরে বিদায় নেন সুর-সম্রাজ্ঞী। বাগ্দেবীর বিসর্জনের দিনই চিরবিদায় নিলেন ৯২ বছরের 'ভারতরত্ন'। রবিবার সকাল ৮টা বেজে ১২ মিনিটে দিকশূন্যপুরে রওনা দেন লতা মঙ্গেশকর। কিছুক্ষণ পরেই সর্বসমক্ষে আসে সেই দুঃসংবাদ। মুহূর্তের মধ্যে শোকবার্তা আসতে শুরু করে। একে একে হাসপাতালে শেষশ্রদ্ধা জানাতে আসেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সন্ধে ৬ টা ১৫ মিনিটে শিবাজি পার্কে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পৌঁছন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, শেষশ্রদ্ধা জানান জাভেদ আখতার, শাহরুখ খান, সচিন তেন্ডুলকর সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তোপধ্বনি করে অন্তিম শ্রদ্ধা জানানো হয় শিল্পীকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় শেষকৃত্যের কাজ। ছিলেন ৮ জন পুরোহিত। তাঁরা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে রীতি মেনে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এরপর চিতায় অগ্নিসংযোগ করেন লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।