India-Britain Relationship : ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কিয়ের স্টার্মার, ভারতের লাভ না ক্ষতি ?
Britain's 'to be' PM Keir Starmer : গতবারের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি আসন নিয়ে কনজারভেটিভ শাসনে ইতি টানতে চলেছে লেবার পার্টি।
লন্ডন : অধিকাংশ এক্সিট পোলের সমীক্ষাতেই ছিল ঋষি সুনকের গদিচ্যুত হওয়ার পূর্বাভাস। গতবারের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি আসন নিয়ে কনজারভেটিভ শাসনে ইতি টানতে চলেছে লেবার পার্টি। অর্থাৎ, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কিয়ের স্টার্মার। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক কূটনেতিক ইস্যুকে সামাল দিতে হবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউরোপিয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক থাকবে। স্টার্মারের বিদেশ নীতির অন্যতম চর্চিত বিষয় থাকবে ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্ক।
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতাচ্যুত ছিল লেবার পার্টি। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হলে "প্রগতিশীল বাস্ততবাদী" বিদেশ নীতির দিকে তারা ঝুঁকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। পরবর্তী বিদেশ সচিব হতে পারেন ডেভিড ল্যামি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অস্থিরতরা দিকে তাকিয়ে তিনি বলছেন, "আমরা যেমনটা চাই তেমনটা নয়।"
কাশ্মীর-সহ একাধিক ইস্যুতে এর আগে ঐতিহাসিক ভুলের কথা আগেই স্বীকার করে নিয়েছে লেবার পার্টি। কিন্তু, এবার ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান স্টার্মার। মুক্ত বাণিজ্যের চুক্তি করতেও তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা করে এগোতে চান স্টার্মার। কাজেই, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে স্টার্মার যে কতটা আগ্রহী তা স্পষ্ট।
ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতের অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে ভোট প্রচারের সময় স্টার্মার দীপাবলি এবং হোলির মতো সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করেন। তাঁর এই উদ্যোগ ব্রিটিশ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কে আরও আস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। অভিবাসন নীতি এবং বাণিজ্য চুক্তির মতো উচ্চাভিলাষী বৈদেশিক নীতিগুলি স্টার্মারের লক্ষ্য। অভিবাসন কমানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ঐকমত্যে আসতে হবে তাঁকে। এর পাশাপাশি ব্রিটেনে শিল্প ক্ষেত্রে কর্মরত ভারতীয় কর্মীদের অস্থায়ী ভিসার বিষয়ে আলোচনা করে ভারসাম্যমূলক আইন স্থাপন করার চ্যালেঞ্জ থাকবে তাঁর সামনে।
প্রসঙ্গত, শেষ মুহূর্তে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভোটারদের একাধিক বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করেন ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। কনজারভেটিভদের হারিয়ে লেবারকে ক্ষমতায় আনলে কর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও প্রচার করেন তাঁরা। যদিও ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সুনকের সেই বার্তায় কান দেয়নি ব্রিটেনবাসী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।