Flood in Bangladesh: বাংলাদেশের বন্যায় দায়ী ভারত? তথ্য দিয়ে কী জানাল বিদেশমন্ত্রক? সত্যিটা কী?
Flood in Tripura: ভারতে ত্রিপুরার গুমতি নদীর উজানের দুম্বুর বাঁধ খোলার ফলেই বাংলাদেশে বন্য়া পরিস্থিতি? আসল কারণ কী?
কলকাতা: কদিন আগেই প্রবল সামাজিক-রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পরে এখনও স্থির হয়নি সেদেশ। এর মধ্যেই বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তে প্রবল বন্য়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ঘটনাতেও বাংলাদেশের একাংশ এর দায় চাপিয়েছে ভারতের উপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে ভারতে ত্রিপুরার গুমতি নদীর উজানের দুম্বুর বাঁধ খোলার ফলেই বাংলাদেশে বন্য়া পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের তরফে যেমন দাবি করা হচ্ছে সেটি তথ্যগতভাবে ঠিক নয়। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গুমতি নদী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর অববাহিকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ হয়েছে যা এই বছরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুম্বুর বাঁধটি সীমান্ত থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থিত- বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার উজানে। এই বাঁধটির উচ্চতা বেশ কম (মাত্র ৩০ মিটার), এখান থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়- এখান থেকে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে। এই ১২০ কিলোমিটার নদীতে তিনটি জায়গায় জলস্তর পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে। ২১ অগাস্ট থেকে গোটা ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের লাগোয়া এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই কারণেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জল ছাড়া হয়েছে। ১২০ কিলোমিটার নদীতে তিনটি জায়গায় যে জলস্তর পর্যবেক্ষণের জায়গা রয়েছে তার মধ্যে একটি অমরপুর। এটি দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকলের অংশ। এর অধীনেই বাংলাদেশকে বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির তথ্য পাঠানো হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২দেশের মধ্যে দিয়ে একটি নদী প্রবাহিত হলে সেখানে যদি বন্যা হয় তাহলে ভারত ও বাংলাদেশ-২টি দেশেই ভোগান্তি হয়। দুটি দেশের জনগণই সমস্যায় পড়েন। এই ধরনের সমস্যা সামাল দিতে দু'পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন হয়।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশ ৫৪টি নদী সীমান্ত নিজেদের মধ্যে ভাগ করে। নদীর জল সহযোগিতা ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেও জানানো হয়েছে। MEA-এর তরফে জানানো হয়েছে ভারত দ্বিপাক্ষিক স্তরে প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে জল সম্পদ ও নদীর জল ব্যবস্থাপনার সমস্যার সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Flood situation in Bangladesh not due to release of waters from Indian dam on Gumti River, Tripura:https://t.co/8hcnRkoBF1 pic.twitter.com/p5zY0LII7D
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) August 22, 2024
আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট? আর কোন ৫ জনেরও এই পরীক্ষা? এবার বেরবে 'আসল' তথ্য?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।