Maharashtra Politics: পুরনো ফর্মুলাতেই সরকার মহারাষ্ট্রে? দেবেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী হলে শিন্ডে, অজিত ডেপুটি হতে চাইবেন কি? জোর জল্পনা
Maharashtra Next Chief Minister: ২০২২ সালে 'মহা আঘাডি জোটে'র সরকার ফেলে যখন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে বিজেপি, একজন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), অন্য জন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত পওয়ার)।
মুম্বই: নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর নয় নয় করে পাঁচ দিন পার হতে চলল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে এখনও দোলাচল অব্যাহত। সেই আবহেই এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল। বিজেপি-র একটি সূত্র মারফত খবর, মহারাষ্ট্রে এবার বিজেপি-রই কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। দু'জন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, একজন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), অন্য জন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত পওয়ার) থেকে। (Maharashtra Politics)
২০২২ সালে 'মহা আঘাডি জোটে'র সরকার ফেলে যখন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে বিজেপি, একজন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে), অন্য জন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (অজিত পওয়ার)। সেই থেকেও একজন মুখ্যমন্ত্রী, দুই উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিতে চলছিল মহারাষ্ট্রের সরকার। তবে সেবার উদ্ধবের সরকার ফেলার নায়ক ছিলেন একনাথ শিন্ডে। তাই তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন। বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। (Maharashtra Next Chief Minister)
কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৩২টি আসনে জয়ী হয়েছে, শিবসেনা (শিন্ডে) ৫৭টি এবং NCP (অজিত পওয়ার) ৪১টি আসনে জয়ী হয়েছে। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় সরকার গড়তে ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৫। সেই নিরিখে একটি দল হলেও, শরিকদের প্রয়োজন বিজেপি-র। কিন্তু বাকি দু'টি দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তারা। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে বিজেপি-র পাল্লা ভারী বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এবারের নির্বাচনে জয়ী হলেও সরকার গড়তে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের মহাযুতি জোটকে। যে কারণে পাঁচ দিন পেরোতে চললেও, এখনও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। শিবসেনা (শিন্ডে) এবারও একনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলে আসছিল গোড়া থেকে। এমনকি বিজেপি তাদের সেই মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু অজিত আজ জানিয়ে দেন, বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সমর্থন করবেন তিনি। এর পর বুধবারই রাজভবনে পৌঁছন সকলে। সেখানে একনাথ ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দেন। এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা না হলেও, একনাথ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই রাজি তিনি। তিনি কারও পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
বিজেপি-র তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও নামে সিলমোহর না দেওয়া হলেও, দেবেন্দ্রর পাল্লাই সবচেয়ে ভারী। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পরও কয়েক দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু অজিতের বিদ্রোহের জেরে সেবার পদ যায় তাঁর। একনাথের ডেপুটি হিসেবে কাজ করতে রাজি ছিলেন না দেবেন্দ্র। তাঁকে রাজি করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে এবার দেবেন্দ্রর সামনে কোনও বাধা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে একনাথ এবং অজিত তাঁর ডেপুটি হবেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠে আসছে।