Durga : দুর্গা মা 'গল্পের চরিত্র, বাস্তব অস্তিত্ব নেই', আরজেডি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক
RJD MLA : নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, 'যখন ব্রিটিশরা ভারতে আক্রমণ শানিয়েছিল, সেই সময় তিন লোকের দেবী হিসেবে দেখা হত দেবী দুর্গাকে। তাহলে সেই সময় কেন তিনি আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি ?'
পাটনা : মা দুর্গাকে (Durga Puja) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য আরজেডি বিধায়কের। তাঁর মন্তব্য, বাস্তবের সঙ্গে কোনও মিল নেই। মা দুর্গা আসলে গল্পের এক চরিত্র। দেহরী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফতে বাহাদুর সিংহের (Fateh Bahadur Singh) যে মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল তরজা। যে মন্তব্য সামনে আসার পরই লালু প্রসাদ যাদব ও তেজস্বী যাদবকে তাঁদের দলের বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে নিশানা করেছে বিজেপি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বিধায়কের মতে, 'দেবী দুর্গা সহ ৩৩ কোটি দেব-দেবীর অস্বস্তি স্বীকার করে নিয়েও বলছি, যখন আমাদের দেশ ভৃত্য হতে বাধ্য হয়েছিল তখন কিন্তু দেশের জনসংখ্যা ছিল ৩০ কোটি। প্রশ্ন করতে চাইব, মহিষাসুর ও তার বিশাল সংখ্যক সেনানীকে যদি দেবী দুর্গা বধ করে থাকেন, তাহলে হাতে গোণা কয়েকজন ব্রিটিশের হাতে কীভাবে এই দেশ পরাধীন হল ? কীভাবে আমাদের ব্রিটিশরা তাঁদের ভৃত্য বানাতে সক্ষম হল ?'
মহিষাসুরকে তাঁর পূর্বপুরুষ হিসেবে দাবি করে আরজেডি বিধায়কের বার্তা দেবী দুর্গার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। ফতে বাহাদুর সিংহের মতে, 'দেবী দুর্গা আসলে গল্পের এক চরিত্র। তাঁর কোনও বাস্তব উপস্থিতি নেই। এক বানানো গল্পের চরিত্র তিনি, যার কোনও সত্যতা নেই।' নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, 'যখন ব্রিটিশরা ভারতে আক্রমণ শানিয়েছিল, সেই সময় তিন লোকের দেবী হিসেবে দেখা হত দেবী দুর্গাকে। তাহলে সেই সময় কেন তিনি আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি ?'
বিতর্কের রেশ আরও উসকে দিয়ে ফতে বাহাদুর সিংহ বলেছেন, 'দুর্গাপুজোর আয়োজন আসলে অর্থের অপচয়। বাল্মিকী রামায়ণ বলে গৌতম বুদ্ধ প্রথম এসেছিলেন, তারপর ভগবান রাম। যার পরে শিব ও তারপর দেবী দুর্গা।' শুধুমাত্র দেবী দুর্গাকে নিয়েই নয়, ব্রাহ্মণদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে আরজেডি বিধায়ককে।
যে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, 'নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের আর্শীবাদের হাত পেয়ে সনাতন ধর্মকে অসম্মান করছেন কয়েকজন। হিন্দু দেব-দেবীকে এভাবে অপমান করা অত্যন্ত নক্কারজনক ঘটনা।' পাশাপাশি বিজেপির আক্রমণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্কের দখল পেতে নোংরা বিভিন্ন মন্তব্য করতেই পিছপা হচ্ছেন না অনেক নেতা।
আরও পড়ুন- "২০১৪-য় সেকেলে ফোন ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন মানুষ", মোদির নিশানায় কংগ্রেস