F-35 Fighter Jet: ভারতকে 'বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান' দেবেন ট্রাম্প! শত্রুপক্ষে কাঁপন ধরানো এই বিমানের বিশেষত্ব কী?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত মানের ফাইটার জেটগুলোর অন্যতম বলে গণ্য করা হয়।

নয়া দিল্লি: এবার আমেরিকার কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান স্টিলথ্ F 35 পাবে ভারত। আকাশযুদ্ধের সমর সম্ভার বাড়াতে চলতি বছরেই চুক্তিবদ্ধ হবে দুই দেশ। ভারতকে F-35 লাইটনিং II যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা জানলে হাঁটু কাঁপবে শত্রুপক্ষের, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
কিন্তু কী এই F-35? কেন এটি বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের তকমা পেয়েছে?
F-35 Lightning II হল বিশ্বের একমাত্র আন্তর্জাতিক পঞ্চম প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধ বিমান। ইন্টিগ্রেটেড সেন্সর প্যাকেজ এবং উন্নত অস্ত্র সহ অত্যন্ত চালচলনযোগ্য এবং গোপনীয় বৈশিষ্ট্যগুলি F-35 কে অন্য সমস্ত যুদ্ধবিমানগুলির তুলনায় আলাদা করেছে।
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত মানের ফাইটার জেটগুলোর অন্যতম বলে গণ্য করা হয়।
লকহিড মার্টিনের নির্মিত এই ফাইটার জেটগুলোর এক একটার দাম পড়ে প্রায় ৮ কোটি মার্কিন ডলার করে।
এফ-৩৫ আসলে এমন একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, যাকে ‘ফিফথ জেনারেশন’ এয়ারক্র্যাফট বলে ডাকা হয়।
এর কমব্যাট সিস্টেমেও নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা প্রতিনিয়ত যোগ করা সম্ভব।
২০১৮তে ইসরায়েল প্রথম ঘোষণা করেছিল যে তারা এফ-৩৫কে ‘কমব্যাট মিশনে’ বা যুদ্ধে ব্যবহার করেছে।
সারা বিশ্বে এই শ্রেণীর যুদ্ধবিমানের মধ্যে এফ-৩৫ আকারে যেমন সবচেয়ে বড়, তেমনি এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওয়েপেন্স প্রোগ্রামও বটে।
মার্কিন এয়ারফোর্স ও নেভি তো বটেই, এছাড়াও আরও অন্তত ১০-১২টি দেশ তাদের বাহিনীতে এফ-৩৫কে যুক্ত করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, নরওয়ে, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতও।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে সীমান্ত-সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই সীমান্ত-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সীমান্ত সন্ত্রাস যে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, সেকথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বিমান আর ভারতের হাতে থাকা রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা আলাদা?
ভারত বর্তমানে রাফাল ব্যবহার করে। ফ্রান্সে তৈরি এই রাফাল যুদ্ধবিমান। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৩০ কিলোমিটার। রাফালে রয়েছে ২টি ইঞ্জিন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কম এবং জ্বালানিও কম লাগে। অনেক উঁচু থেকে আঘাত হানতে সক্ষম রাফাল। মাটির কাছাকাছি পৌঁছেও শত্রুঘাঁটি ধ্বংস করতে একইভাবে পারদর্শী এই যুদ্ধবিমান। হামলার আগে প্রতিপক্ষের আকাশসীমায় ঢুকে শত্রুঘাঁটির ছবিও তুলে আনতে সক্ষম রাফাল। এই সব বিশেষত্বের জন্য ফ্রান্সের দাসো সংস্থার তৈরি এই যুদ্ধবিমানকে মাল্টিরোল ফাইটার জেট বলা হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় IS জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে এই রাফালকেই ব্যবহার করছে ফরাসি বায়ু সেনা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
