World's Oldest Person: দু’টি বিশ্বযুদ্ধ হতে দেখেন, কাটিয়ে ওঠেন দু’-দু’টি অতিমারি, প্রয়াত বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ
Lucile Randon: লুসিল সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯০৪ সালে জক্ষিণ ফ্রান্সে জন্ম তাঁর।
মাসেই, ফ্রান্স: ঘোষিত ভাবে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ (World's Oldest Person) ছিলেন এতদিন। মারা গেলেন ফ্রান্সের সন্ন্যাসিনী লুসিল হদোঁ (Lucile Randon)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর। ফ্রান্সে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন লুসিল (Lucile Randon Demise)। সেখানে ঘুমের মধ্যেই তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মারা গেলেন ফ্রান্সের সন্ন্যাসিনী লুসিল হদোঁ, ঘোষিত ভাবে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ
লুসিল সিস্টার আন্দ্রে নামেও পরিচিত ছিলেন। ১৯০৪ সালে জক্ষিণ ফ্রান্সে জন্ম তাঁর। সে বছরই প্রথম আমেরিকার নিউ ইয়র্কে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়। তারও প্রায় এক দশক পর শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম জীবনে শিক্ষিকা এবং আয়া হিসেবে কাজ করেন লুসিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
বিশ্বযুদ্ধের পরও দীর্ঘ ১৮ বছর অনাথ শিশু এবং প্রবীণদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন লুসিল। পরবর্তী কালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। শেষ জীবনে ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত ছিলেন তিনি। সন্ন্যাসিনী হিসেবেও সবচেয়ে প্রবীণতম হওয়ার রেকর্ড গড়েন। জাপানের কেন তানাকার মৃত্যুর পর, ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে লুসিলকে বিশ্বের প্রবীণতম মহিলা এবং প্রবীণতম মানুষ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও, জীবিত কালে দ্বিতীয় প্রবীণতম ফরাসি নাগরিক এবং দ্বিতীয় প্রবীণতম ইউরোপীয় ঘোষিত হন।
Guinness World Records is saddened to learn of the passing of the world's oldest person, Sister André (b. Lucile Randon) at the age of 118.https://t.co/xbgvOrqK1u
— Guinness World Records (@GWR) January 18, 2023
তুলঁ শহরে বসবাস করতেন লুসিল। তার জন্য ২০১৯ সালে লুসিলকে সেখানকার সাম্মানিক নাগরিকত্বও প্রদান করা হয়। পোপ প্রান্সিস খোদ তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন। শুধু তাই নয়, কোভিডের প্রকোপ কাটিয়ে ওঠা প্রবীণতম ব্যক্তির তালিকাতেও একেবারে শীর্ষে নাম ছিল লুসিলের। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি, ১১৭তম জন্মদিন পালনের সময়ই সংক্রমিত হন তিনি। সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে, তার জন্য নিভৃতবাসে চলে যান।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনাকে পরাজিত করেন লুসিল। কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। তার আগে, ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু থেক উদ্ভুত অতিমারিও দেখেছিলেন লুসিল। আর তিন বছর বাঁচলে জঁ লুই কালমেঁ-র রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলতেন লুসিল, লুই ১২২ বছর ১৬৪ দিন জীবিত ছিলেন। লুসিলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে গিনেস ওয়র্ল্ড রেকর্ডস। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে তারা।
পোপ প্রান্সিস খোদ লুসিলকে চিঠি লিখেছিলেন
বয়স বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করেন আমেরিকার প্রখ্যাত বার্ধক্যবিদ রবার্ট ডি ইয়ং। ২০১৫ সাল থেকে তিনি সুপারসেন্টিনারিয়ান রিসার্চ ডেটাবেস ডিভিশনের ডিরেক্টর। তাঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গিনেস ওয়র্ল্ড রেকর্ডসও।