এক্সপ্লোর
Science News: সৌরজগতের আর কোথাও নয়, নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুর পরিবর্তন ঘটে একমাত্র পৃথিবীতেই
Space Science: পৃথিবীর খুঁটিনাটি সবকিছুর নেপথ্যেই রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ। ঋতুর পরিবর্তনও ব্যতিক্রম নয়। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।
1/11

গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত, এক বছরে ছয় ঋতুর দেখা মেলে পৃথিবীর বুকে। যেমন যেমন মাস অতিক্রান্ত হয়, তেমন তেমন পরিবর্তন ঘটে ঋতুর। ছবি: ফ্রিপিক।
2/11

সৌরজগতে আরও গ্রহ থাকলেও, পৃথিবীর বুকেই নিয়মিত ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। প্রতি বছর ঋতু পরিবর্তনের এই চক্র মোটামুটি একই থাকে। কিন্তু অন্য গ্রহগুলিতে এমনটি ঘটে না। এর নেপথ্যে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ। ছবি: ফ্রিপিক।
3/11

বিজ্ঞানীদের মতে, উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু বরাবর পৃথিবীর ঘূর্ণন যে অক্ষে, তা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার যে উল্লম্ব কক্ষপথ, তার অক্ষের সঙ্গে পুরোপুরি সমান্তরাল নয়। ছবি: ফ্রিপিক।
4/11

সামান্য হেলে অবস্থান করে পৃথিবী। পৃথিবীর এই অবস্থানই ঋতু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বলে মত বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়, কোনও গ্রহ প্রাণধারণের পক্ষে উপযুক্ত কিনা, তা-ও এই অবস্থানের উপরই নির্ভর করে বলে মত তাঁদের। ছবি: পিক্সাবে।
5/11

এর সপক্ষে বিজ্ঞানীদের যুক্তি, যদি কোনও গ্রহের নিজের ঘূর্ণনের অক্ষ, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ব্যবহৃত কক্ষপথের অক্ষের সমান্তরাল হয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ সূর্যের আলোই এসে পড়ে ওই গ্রহের উপর। এ ক্ষেত্রে গ্রহের কক্ষপথও মোটামুটি বৃত্তাকার হয়। ছবি: ফ্রিপিক।
6/11

পৃথিবীর কখন, কোথায়, কত পরিমাণ সূর্যের আলো পড়ছে, তার নিরিখেই ঋতুর পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর অবস্থান কিছুটা হেলানো বলেই, কয়েক মাস অন্তর প্রাপ্ত সূর্যরশ্মির মধ্যে ফারাক দেখা যায়, যা ঋতু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। ছবি: ফ্রিপিক।
7/11

এই যে কিছুটা হেলানো অবস্থান পৃথিবীর, জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে Obliquity বলা হয়। উল্লম্ব ভাবে পৃথিবীর ২৩ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এর ফলে উত্তর গোলার্ধ গ্রীষ্নকালে বেশি সূর্যরশ্মি পায়। কারণ বছরের ওই সময় সরাসরি উত্তর গোলার্ধের উপরই অবস্থান করে সূর্য। ছবি: ফ্রিপিক।
8/11

এর পর সূর্যকে যেমন ভাবে প্রদক্ষিণ করে চলে পৃথিবী, উত্তর গোলার্ধের উপর সূর্যরশ্মিও তত কম পড়তে খাকে। কারণ উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে কম হেলে থাকে এই সময়। তখন উত্তর গোলার্ধে শীত পড়ে। ছবি: ফ্রিপিক।
9/11

এক্ষেত্রে লাট্টুর সঙ্গে পৃথিবীর তুলনা চলে। লাট্টুকে মাটিতে ছেড়ে দিলে দেখা যাবে, পেরেকের উপর দাঁড়িয়ে সোজা ঘুরছে না লাট্টু, বরং ঘুরতে ঘুরতে একদিকে হেলে পড়ছে। পৃথিবীর ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটে। ছবি: পিক্সাবে।
10/11

পৃথিবীর মতোই নিজের কক্ষপথে হেলে রয়েছে মঙ্গলগ্রহ। কিন্তু পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাচ্ছে চাঁদ। তার আকর্ষণে পৃথিবী নির্দিষ্ট কোণেই হেলে থাকে। মঙ্গলের মতো টলমল করে না, মঙ্গলের মতো ঘন ঘন ঋতু পরিবর্তন হয় না।। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ঋতুর আগমন ঘটে পৃথিবীতে। ছবি: ফ্রিপিক।
11/11

এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু এক্সোপ্ল্যানেট, অর্থাৎ কিছু গ্রহ, যারা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য Kepler-186f. পৃথিবীর সমানই প্রায় এর আকার। সেটি প্রাণধারণের উপযুক্ত বলেও মত বিজ্ঞানীদের। একটি ছোট নক্ষত্রকে সেটি প্রদক্ষিণ করে। তার বুকে সমুদ্রেরও হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে চারপাশের অন্য গ্রহ থেকে অনেক দূরত্ব Kepler-186f –এর। চাঁদের মতো উপগ্রহও নেই এর। পলে পারিপার্শ্বিক প্রভাব থেকে মুক্ত। তাই পৃথিবীর মতোই ওই গ্রহ হেলে অবস্থান করে। মঙ্গলের মতো ঘন ঘন সেখানে ঋতুর পরিবর্তনও হয় না। ছবি: NASA.
Published at : 06 Feb 2024 08:50 PM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement
ট্রেন্ডিং
