Bipodtarini Puja 2023 : দেবী দুর্গা-র ১০৮ অবতারের অন্যতম বিপত্তারিণী, কবে রয়েছে এই পুজো? নিয়মকানুন কী
Puja of Devi Bipodtarini : সমগ্র বিপদ বা বিপদসমূহ যিনি নাশ করেন তিনিই বিপত্তারিণী...
কলকাতা : বাঙালির সপরিবারে সংসার। সুখ-দুঃখ, ভাল-মন্দ সময়, বিপদ-আপদ লেগেই থাকে বারোমাস। কিন্তু, সংসারে বিপদ কে-ই বা চায় ? তাই, মহাশক্তিশালী বিপত্তারিণীর শরণাপন্ন হওয়া। বিশ্বাস, সব রকমের বিপদ থেকে ভক্তদের দূরে রাখেন মা বিপত্তারিণী। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথিতে যে কোনও শনি বা মঙ্গল বারে এই ব্রত পালন করা হয়।
বিপত্তারিণী পুজো ২০২৩-
এবার বিপত্তারিণী পুজো পড়েছে ৮ আষাঢ়, ২৪ জুন শনিবার এবং ১১ আষাঢ়, ২৭ জুন মঙ্গলবার।
বিপত্তারিণী মায়ের পুজো শুরু কবে থেকে ?
পুরাণ অনুযায়ী, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভাইদের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেবতারা মহাশক্তিশালী মহামায়ার স্তব করেন। সেই সময় শিব-অর্ধাঙ্গিনী পার্বতী সেখানে হাজির হন। দেবতাদের জিজ্ঞাসা করেন, “ তোমরা কার পুজো করছো ।” দেবী নিজেই দেবতাদের পরীক্ষা করার জন্য এই প্রশ্ন করেন। কিন্তু, দেবতারা তাঁকে চিনতে পারেননি। তখন পার্বতী নিজের রূপ ধরেন, সকলের সামনে আবির্ভূত হন। তিনি এসে বলেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ। চিনতে পারনি আমায়।” তারপর তিনি ভয়ঙ্কর শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন অনায়াসে। দেবতাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী মায়ের পুজো শুরু। তারপর মর্ত্যলোকে এই পুজোর প্রচলন হয়। বিপদ যিনি তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী।
পূজামন্ত্র-
মাসি পূণ্যতমে বিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ বাসরে মঙ্গল শুভে।
সর্পঝক্ষে চ মধ্যাহ্নে জানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযগেষু শোভনেষুচ।
নমঃ সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে, শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।
পুষ্পাঞ্জলি-
দূর্গান্ শিবান্ শান্তিকরিং ব্রহ্মাণি ব্রহ্মণ্যপ্রিয়াং
সর্বলোকঃ প্রণিতিঞ্চ প্রণমামি সদাশিবান্
মঙ্গলাং শোভনাং শুদ্ধাং নিস্কলাং পরমাস্কলাং বিশ্বেশ্বরীং
বিশ্বমাতাং চন্ডীকাং প্রণমাম্যহম
এষ পুষ্পাঞ্জলি গৃহাণ পরমেশ্বরী
বিপত্তরিণী চন্ডীকায়ৈঃ নমো নমহ
পুজোর নিয়মকানুন -
বিপত্তারিণী মায়ের পুজোয় ১৩ সংখ্যাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রত পালন করতে লাগে ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি সুপুরি ও ১৩ রকম নৈবেদ্য। এই ব্রত পালনের দিন কেউ কেউ ১৩ টি ছোট ছোট লুচি ভেজে খান। ব্রত পালন করলে চাল বা চালজাতীয় জিনিস নিয়ে তৈরি কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। মুড়ি, ভাত, চিঁড়ে থেকে দূরে থাকতে হবে। এদিন মহিলারা আলতা, সিঁদুর পরে পুজো করেন। লাল সুতোয় ১৩টি গিট বেঁধে পুজো হয়। সেই ধাগা হাতে বাঁধা হয় মঙ্গল কামনায়। এদিন পরিবারের সকলেই নিরামিষ খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন ; ২৬ জুন বদলে যাচ্ছে কেতুর অবস্থান, কোন ৩ রাশির কপালে ঘনিয়ে আসতে পারে দুর্যোগ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন