El Nino: সমুদ্রে বাড়ছে এল-নিনোর প্রভাব! রেকর্ড গরম বৃদ্ধির আশঙ্কাপ্রকাশ নাসার
El Nino Warning: মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে কেরলে বৃষ্টি শুরু হতে সময় লাগবে।
নয়া দিল্লি: এবার মহাকাশ থেকেই দেখা গেল এল নিনোর কার্যকলাপ। স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল সেই ছবি। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গিয়েছে এল নিনোর গতিবিধি। মার্চ, এপ্রিল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের দিক দিয়ে এগোচ্ছে। Sentinel-6 Michael Freilich স্যাটেলাইটের থেকে এই তথ্য পেয়েছে নাসা।
দেখা গিয়েছে, সমুদ্রও কিছুটা উত্তাল হয়েছে। তবে ঢেউয়ের উচ্চতার থেকে বেড়েছে ঠিকই কিন্তু ঢেউয়ের পরিধি অনেকটাই বেড়েছে। নিরক্ষরেখায় যেহেতু ঢেউয়ের এই উৎপত্তি হচ্ছে তাই জলের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির Sentinel-6 Michael Freilich এর বিজ্ঞানী জোস উইলস জানান যে তাঁরা চিলের মতো দৃষ্টি থেকে এই এল নিনোর কার্যকলাপ দেখে চলেছেন।
এরপরই নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এল নিনোর জেরে ভারতসহ গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন হবে। রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, এল নিনো এখন জুলাইয়ের শেষে আসতে পারে। WMO আরও বলেছে যে জুলাই মাসে এর আগমনের সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরের শেষে ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে৷ ভারতে বর্ষাকালে এল নিনোর সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।
জলবায়ু পূর্বাভাস পরিষেবা বিভাগের প্রধান উইলফ্রান মাউফোমা ওকিয়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, "এটি সারা বিশ্বের আবহাওয়া এবং জলবায়ু ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করবে।"
অন্যদিকে, মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে কেরলে বৃষ্টি শুরু হতে সময় লাগবে। মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়, "কেরলে বর্ষা ঢুকতে ঢুকতে ৪ জুন হয়ে যাবে। চার দিন দেরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে আপাতত।" সাধারণত ১ জুন নাগাদই কেরল উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়। এ বার তাতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে চোখের ভয়ঙ্কর রোগ, হারাতে পারেন দৃষ্টিও !
তবে বর্ষা দেরিতে ঢুকলেও, বৃষ্টির অনুপাতে তেমন কোনও হেরফের হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। কেরল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপে পর পর দু'দিন বৃষ্টি হলেই ভারসাম্য ফিরবে বলে দাবি আবহবিদদের। সোমবার IMD-র প্রধান এম মহাপাত্র জানান, সাত দিন পর্যন্ত দেরি হলেও চলতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাষের কাজ এবং গোটা দেশের বৃষ্টির উপর তেমন প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।