Wrestler Protest: সাক্ষী, ভিনেশদের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের
Wrestler Protest Update: সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে অভিযােগ তুলেছিলেন সাত মহিলা কুস্তিগীর। এদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে।
মুম্বই: প্রতিবাদ রোজ আরও দৃঢ় হচ্ছে। গোটা দেশ ধীরে ধীরে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাতদের। যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে অভিযােগ তুলেছিলেন সাত মহিলা কুস্তিগীর। এদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন কুস্তিগীররা। সাক্ষী, বজরং, ভিনেশরা তাঁদের দেশের জন্য পাওয়া পদকও গঙ্গায় বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন। গোটা দেশে কুস্তিগীরদের এই প্রতিবাদে এবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরাও।
কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''আমাদের দেশের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের মারধর করা হয়েছে। এই অপ্রীতিকর দৃশ্যে আমরা ব্যথিত ও বিরক্তও। এর থেকেও বেশি আমরা উদ্বিগ্ন যে তাঁরা তাঁদের কষ্টার্জিত পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার কথা ভাবছেন।''
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ''এই পদকগুলির সঙ্গে বছরের পর বছর প্রচেষ্টা, ত্যাগ, সংকল্প এবং দৃঢ়তা জড়িয়ে রয়েছে। এটি কেবল তাঁদের নিজস্ব নয়, জাতির গর্ব এবং আনন্দ। আমরা তাঁদের এই বিষয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং আশা করি তাঁদের অভিযোগ দ্রুত শোনা হবে এবং সমাধান করা হবে। দেশের আইনের প্রাধান্য দিন।''
হরিয়ানার বলালি গ্রামে মহাবীর বলেছেন, 'আমি সব কিছুর ঝুঁকি নিয়ে মেয়েদের পদক জেতার মতো দক্ষ করে তুলেছি। আজ ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না। খুব দুঃখের ব্যাপার যে, গঙ্গায় পদক ছুড়ে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল ওদের। কৃষক নেতারা ওদের অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন। এবার গোটা দেশ একত্রিত হবে। এই সরকার ফেলে দেবে। সরকার যদি উদ্যোগী হয়ে সমস্যা না মেটায়, তাহলে ব্রিটিশদের যেভাবে উৎখাত করেছিল, সেভাবেই এই সরকারকে সরানো হবে।'
দিল্লিতে কুস্তিগীরদের (Wrestler Protest) হেনস্থায় প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কলকাতায় প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ নেই, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।