Sachin Tendulkar: স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে সকাল সকাল ভোট দিলেন সচিন, সাধারণের জন্য কী বার্তা দিলেন?
Maharasthra Election: ভোটদানের পর সংবাদমাধ্য়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্যও আর্জি জানান বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। সচিনের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অঞ্জলি ও মেয়ে সারাও।
বান্দ্রা: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Election) ভোট আজ। সকাল সকাল নিজের নিকটবর্তী ভোটদান কেন্দ্রে গিয়ে সপরিবারে ভোট দিলেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। স্ত্রী অঞ্জলি, মেয়ে সারাও ছিলেন সচিনের সঙ্গে। ভোটদানের পর সংবাদমাধ্য়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্যও আর্জি জানান বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ''আমি ভারতের নির্বাচন কমিশনের ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসেডর ছিলাম বেশ কিছুদিন। আমারও সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা দেওয়া প্রয়োজন। আমি সবাইকে বলব ভোট দিন, ভোট দিতে এগিয়ে আসুন।''
View this post on Instagram
INDIA না NDA? কে বসবে মারাঠা-মসনদে? রায় দিচ্ছে মহারাষ্ট্র। মূল লড়াই বিজেপি, শিন্ডে-সেনা ও অজিতপন্থী এনসিপির সঙ্গে কংগ্রেস, উদ্ধবের শিবসেনা ও শরদের এনসিপি-র। রাজ্যের ২৮৮ আসনে শুরু ভোটগ্রহণ। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডেও চলছে দ্বিতীয় দফায় ৩৮ আসনে ভোটগ্রহণ। শনিবার দুই রাজ্যের ভোটের ফলপ্রকাশ।
২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতেই কেরিয়ারের শেষ ম্য়াচ খেলেছিলেন। সেদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত (India vs West Indies)। ঘরের মাঠে দুশোতম টেস্ট খেলে নতুন মাইলফলক গড়েছিলেন সচিন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে খেলেছিলেন দুশো টেস্ট। সেটাই ছিল সচিনের শেষ টেস্ট। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন সচিন। ১৬ নভেম্বরের পর আর তাঁর সেই স্বর্গীয় ব্যাকফুট পাঞ্চ, স্ট্রেট ড্রাইভ দেখতে পাননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবই সুখস্মৃতি হয়ে থেকে গিয়েছে। পেয়েছে অমরত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তাঁর বিদায়ী বক্তৃতা এখনও মানুষের স্মৃতিতে অমলিন। ২০০ টেস্টে ১৫৯২১ রান। ৫১ সেঞ্চুরি। ৪৬৩ ওয়ান ডে ম্যাচে ১৮৪২৬ রান। ৪৯ সেঞ্চুরি। ভারতের জার্সিতে একটি টি-২০ ম্যাচও খেলেছেন সচিন। করেছেন ১০ রান। একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাটার হিসাবেই সচিনকে মনে রেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিকেট ছাড়ার পরও বিশ্বব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও ছিলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন আইপিএলে।