Wriddhiman Saha: কেকেআরের কোচ হচ্ছেন ঋদ্ধি? নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বললেন 'সুপারম্য়ান'?
Ranji Trophy: যদি বড় কোনও মিরাক্যাল না হয়, সেক্ষেত্রে পাঞ্জাব ম্য়াচই বাংলার এবারের রঞ্জিতে শেষ ম্য়াচ হতে চলেছে। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার অঙ্ক বেশ জটিল
![Wriddhiman Saha: কেকেআরের কোচ হচ্ছেন ঋদ্ধি? নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বললেন 'সুপারম্য়ান'? wriddhiman saha not ready for coaching role of any ipl team know details Wriddhiman Saha: কেকেআরের কোচ হচ্ছেন ঋদ্ধি? নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বললেন 'সুপারম্য়ান'?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/29/f6007eeb5e795ba2a7d2bac9f05de5db1738132097516206_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জিতে লিগের শেষ ম্য়াচ খেলতে নামবে বাংলা। সেই ম্য়াচই হয়ত হতে চলেছে ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) কেরিয়ারের শেষ পেশাদার ম্য়াচ। পাকাপাকিভাবে ব্যাট-প্যাড ও জুতোজোড়া খুলে রাখবেন বাংলার পাপালি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছিলেন। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও শেষ হয়ে যাবে ঋদ্ধিমানের ক্রিকেট কেরিয়ার। কিন্তু এরপর কী করবেন? এবার কি কোচ হিসেবে দেখা যাবে দেশের অন্যতম সেরা উইকেট কিপারকে? কী বলছেন ঋদ্ধি?
যদি বড় কোনও মিরাক্যাল না হয়, সেক্ষেত্রে পাঞ্জাব ম্য়াচই বাংলার এবারের রঞ্জিতে শেষ ম্য়াচ হতে চলেছে। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার অঙ্ক বেশ জটিল, এমনকী পাঞ্জাব ম্য়াচ জিতলেও শেষ আটে ওঠার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এই পরিস্থিতিতে ঋদ্ধির ফেয়ারওয়েল ম্য়াচের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইডেনে। এরই মধ্য়ে ৪০ বছরের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জানিয়ে দিলেন যে তিনি এই মুহূর্তে পাকাপাকি কোচ হতে চান না কোনও দলের। তার থেকে বরং কচিকাঁচাদের মেন্টর হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক তিনি। স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধি বলেছেন, ''আমার পুরো কেরিয়ারে আমি একটা বিষয় সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করেছি, যে যদি কিছু দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা থাকে, তবে তার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ। মানসিক ও শারীরিক দুভাবেই প্রস্তুত থেকেই এরপর সেই দায়িত্ব পালনের জন্য নামা উচিৎ।''
ঋদ্ধি আরও জানান, ''আমি কেকেআরের জার্সিতে আইপিএলে খেলেছি। কেকেআরের তরফে কোচিংয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি এখনও পুরোপুরি স্থায়ী কোচ হিসেবে নিজেকে দেখতে পারছি না। সেভাবে প্রস্তুতও নই। তার জন্যই কেকেআরের সহকারী কোচের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি জানি বিরাট দায়িত্ব। কিন্তু তার জন্য আমাকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতেই হবে।''
রঞ্জিতে এই মুহূর্তে বাংলার ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। অনুষ্টুপ মজুমদারেরা গ্রুপে তাঁদের শেষ ম্যাচ খেলবেন ইডেনে, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু সেই ম্যাচে বাংলাকে বোনাস পয়েন্ট-সহ জিততেই হবে। পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে, বিরাট অঘটন ঘটিয়ে বিহার যেন কেরলকে হারিয়ে দেয়। কর্নাটকও যেন হরিয়ানার কাছে হারে বা ম্যাচ ড্র হয় ও হরিয়ানা প্রথম ইনিংসের লিড নেয়।
সেক্ষেত্রে বাংলা ও কেরল - দুই দলেরই পয়েন্ট হবে ২১। ১৯ বা ২০ পয়েন্টে আটকে যাবে কর্নাটক। গ্রুপে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে দেখা হয় নিজেদের মধ্যে ম্যাচে কারা জিতেছিল বা প্রথম ইনিংসের লিড নিয়েছিল। কিন্তু বাংলা বনাম কেরল ম্যাচের একটি করে ইনিংসও শেষ হয়নি। ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট করে পেয়েছিল দুই দল। তাই সেই ম্যাচ থেকে কিছুই নির্ধারিত হবে না।
এরপর দেখা হয় কোন দল সরাসরি বেশি ম্যাচ জিতেছে। কেরল বিহারের কাছে হেরে গেলে ২টি সরাসরি জয়ে আটকে যাবে। বাংলা পাঞ্জাবকে হারালে ২টি জয় ছিনিয়ে নেবে। সেই হিসাবেও হবে না মীমাংসা। তখন দেখা হবে রান রেট।
পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে বোনাস পয়েন্ট-সহ জিতে কেরলের চেয়ে রান রেট বেশি রাখতে পারলে, বাংলার কপাল ও নক আউটের দরজা - দুই-ই খুলে যাবে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)