Swastika Ghosh wins Gold: টেবিল টেনিসের সিঙ্গলসে প্রথম সোনা, কোহলির প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত বাঙালি কন্যা
বাঙালি কন্যার কীর্তি। টেবিল টেনিসে প্রথম সিঙ্গলস খেতাব। এবং সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে। তিউনিশিয়ায়। স্বস্তিকা ঘোষ। তিউনিশিয়ায় অনূর্ধ্ব ১৯ টেবিল টেনিসে (ডব্লিউটিটি ইয়ুথ কনটেন্ডার) সোনা জিতলেন।
কলকাতা: বাঙালি কন্যার কীর্তি। টেবিল টেনিসে প্রথম সিঙ্গলস খেতাব। এবং সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে। তিউনিশিয়ায়।
স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh)। তিউনিশিয়ায় অনূর্ধ্ব ১৯ টেবিল টেনিসে (ডব্লিউটিটি ইয়ুথ কনটেন্ডার) সোনা জিতলেন। ফাইনালে হারালেন স্বদেশীয় যশস্বিনী দীপক ঘোরপাড়েকে। পাঁচ গেমের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে। প্রথম তিন গেমের মধ্যে দুটিতেই হেরে গিয়েছিলেন বঙ্গকন্যা। পরের দুই গেম জিতে সোনার পদক নিশ্চিত করেন। ৬-১১, ১১-৮, ৬-১১, ১১-৬, ১১-৮ গেমে যশস্বিনীকে হারিয়েছেন স্বস্তিকা।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্বস্তিকাকে বিরাট কোহলির তরফে অভিনন্দনবার্তা পাঠানো হয়েছে। যা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাঙালি টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। সিঙ্গলসে কেরিয়ারের প্রথম খেতাব জয়ের পর স্বস্তিকা বলছেন, 'এটা আমার প্রথম সিঙ্গলস খেতাব। আমি খুব খুশি। ম্যাচ জেতা নিয়ে বেশি ভাবিনি। প্রত্যেকটা পয়েন্ট জেতার ওপর জোর দিয়েছিলাম।'
বিরাট কোহলির পৃষ্ঠপোষকতায় পথ চলার রসদ পাচ্ছেন স্বস্তিকা। যে পাথেয়কে সম্বল করে টেবিল টেনিসে ঝড় তুলেছেন অষ্টাদশী। তাঁর খেলা, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ বা বিদেশ সফরের খরচ দেয় কোহলির ফাউন্ডেশন। স্বস্তিকা তিউনিশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে কোহলির তরফ থেকে।
তবে বাংলা নয়, জাতীয় টেবিল টেনিসে স্বস্তিকা মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর বাবা তথা ব্যক্তিগত কোচ সন্দীপ ঘোষ প্রাক্তন ফুটবলারও। এক সময় তালতলা একতা, কালীঘাট ক্লাব, জর্জ টেলিগ্রাফের হয়ে প্রথম ডিভিশন খেলেছেন। তবে ১৯৯৪ সালে রোভার্স কাপে হাঁটুর চোট আর কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত হতে দেয়নি। এখন মেয়ের কেরিয়ারই ধ্যানজ্ঞান সন্দীপের। বলছিলেন, 'ফাইনালে যাকে হারিয়েছে, সেই যশস্বিনীর সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্তুগালের লিসবনে ডাবলস খেলবে ও। যশস্বিনীকে হারাতে পারাটা বড় ব্যাপার।' বৃহস্পতিবারই তিউনিশিয়া থেকে পর্তুগালের উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন স্বস্তিকা।
স্বস্তিকাদের আদি বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। ২০০৩ সালে জন্ম তাঁর। বাগনানে মামার বাড়িতে কয়েক মাস কাটিয়ে মায়ের সঙ্গে মুম্বই পাড়ি। নবি মুম্বইয়ের খাড়গড়ে এপিজে স্কুলে স্পোর্টস টিচার ছিলেন সন্দীপ। সেখানে সাড়ে তিন বছর বয়সে টেবিল টেনিসে হাতেখড়ি হয় স্বস্তিকার। দেওয়ালে খেলে শুরু। তারপর মুম্বইয়ে রায়গড়ের হয়ে জেলা স্তরে খেলা শুরু। ৫ ও ৬ বছর বয়সে পরপর দুবার জেলা চ্যাম্পিয়ন হন। মাত্র ৮ বছর বয়সে জেলার একটা টুর্নামেন্টে ছক ভেঙে পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২১ বিভাগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হন স্বস্তিকা। ২০১৩ সালে মাত্র সাড়ে ন'বছর বয়সে আজমেঢ়ে জাতীয় ক্যাডেট ও সাব জুনিয়র প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি স্বস্তিকাকে।
ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তিনবার দেখা করার ও কথা বলার সুযোগ হয়েছে স্বস্তিকার। কী পরামর্শ দিয়েছেন কোহলি? 'বিরাট স্যার বলেছিলেন, কঠিন পরিশ্রম করো। পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, লক্ষ্যে অবিচল থাকো। ওঁর কথা মেনে চলি। সব সময় উৎসাহ দেন,' ফোনে বলছিলেন স্বস্তিকা।
শাস্ত্রীর বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কোহলিদের মুখে মাস্ক ছিল না, বললেন দিলীপ দোশি