(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Australian Cricket Team: অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের রমরমা, সামনে এল চমকে ওঠার মতো তথ্য
ABP Live: এর আগে ২০১৮-১৯ মরশুমেও স্মিথের চেয়ে সিংহ পদবির ক্রিকেটার বেশি নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্মিথ পদবির ক্রিকেটার কম। বরং সিংহদের সংখ্যা বেশি। ভারতে নয়। অস্ট্রেলিয়ায় (Australia)!
এরকমই এক তথ্য উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে (Australia Cricket Board)। যা দেখে অবাক অনেকেই। ২০২৩-২৪ মরশুমের জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে নাম নথিবদ্ধ করিয়েছেন যে সমস্ত ক্রিকেটার, সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা অনেক বেশি। সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় নাম নথিবদ্ধ করিয়েছেন সিংহ পদবির ক্রিকেটারেরা। সংখ্যাটা চমকে দেওয়ার মতো। ৪২৬২ জন সিংহ পদবির ক্রিকেটার নাম নথিবদ্ধ করিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে। সেখানে স্মিথ পদবির সংখ্যা মাত্র ২৩৬৪।
তবে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮-১৯ মরশুমেও স্মিথের চেয়ে সিংহ পদবির ক্রিকেটার বেশি নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে, এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষিণ এশিয়া বংশোদ্ভূতরা কত বেশি পরিমাণে ক্রিকেট খেলছেন সে দেশে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতরাও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্রিকেট খেলছেন। আগামী গ্রীষ্মে ভারতের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দল এবং পাকিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। সেই সিরিজগুলিতে মাঠে ভারত ও পাকিস্তানের সমর্থকেরাও প্রচুর পরিমাণে মাঠে আসবেন বলে আশাবাদী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
শুধু সিংহ পদবিযুক্তদের আধিপত্যই নয়, প্রচুর সংখ্যায় রয়েছেন পটেলরাও। ২০২৩-২৪ মরশুমের জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে নাম নথিবদ্ধ করিয়েছেন যে সমস্ত ক্রিকেটার, সেখানে পটেলরাও সংখ্যায় তৃতীয়। পাশাপাশি রয়েছেন শর্মা, খান ও কুমার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডে ১৬টি সবচেয়ে বেশি নথিভুক্ত হওয়া পদবিযুক্ত ক্রিকেটারের একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে এই অবাক করা পরিসংখ্যান।
প্রাক করোনা পর্বে ২০১৯-২০ মরশুমের তুলনায় এবার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগতভাবে আলাদা ক্রিকেটারদের (CALD) অংশগ্রহণ বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। এবিপি লাইভ বাংলাকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, বিভিন্ন ভাষাভাষি ও বিবিধ সংস্কৃতির ক্রিকেটারদের সে দেশে খেলার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে নিরলসভাবে। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট একটি প্রকল্পও নিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাওয়াজা ও লিসা স্থালেকরদের মুখ করে প্রচার শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তারই ফলশ্রুতি এই উৎসাহব্যঞ্জক পরিসংখ্যান।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড চায়, ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি সে দেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ খেলা দেখতে মাঠেও আসুন। সেরকম পরিবেশ তৈরি করতেও যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড তৎপর, জানানো হয়েছে।
এবিপি লাইভ বাংলাকে পাঠানো বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হেড অফ পার্টিসিপেশন জেমস কার্মবি বলেছেন, 'বিবিধ সংস্কৃতি ও ভাষার সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে আরও বেশি করে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তা উৎসাহিত করে তোলার মতোই। আমরা চাই সকলকে সমান সুযোগ করে দিতে আর সেই লক্ষ্যে সফলও হচ্ছি।'
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলেও যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা জায়গা করে নিচ্ছেন, সেই উদাহরণও দেওয়া হচ্ছে। উসমান খাওয়াজাদের পাশাপাশি উঠে আসছেন হরজস সিংহদের মতো প্রতিশ্রুতিমান তরুণও। সদ্যসমাপ্ত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছেন হরজস। ফাইনালে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিরুদ্ধে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন। ভবিষ্যতে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র জাতীয় দলে দেখা যাবে, এরকম সম্ভাবনাও রয়েছে।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এখন নতুন বসন্ত।
আরও পড়ুন: আইপিএলের আগে ফের ধাক্কা? শুরুর দিকে কেকেআর অধিনায়কের খেলা নিয়ে প্রশ্ন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে