Tax Saving Hacks: চাকরি করেন, প্রায় ৪ লক্ষ টাকার কর বাঁচাতে পারেন আপনিও, কীভাবে ?
Tax Deduction: করদাতারা চাইলে ৩.৮৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধে পেতে পারেন। কিছু নিয়ম মানলেই বিপুল টাকা বাঁচবে কর থেকে। কীভাবে ?
Income Tax Rules: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য কর জমার প্রক্রিয়া আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে। যারা চাকরি করেন, এমন বেতনভুক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তাঁদের বেতনের উপর নির্ভর করে করের পরিমাণ। আপনি যদি কর বাঁচাতে (Tax Deduction) চান, তাহলে বেশ কিছু বিনিয়োগের জায়গা আছে যা আপনাকে কর বাঁচাতে সাহায্য করবে। কিন্তু জানেন কি, বেতনভুক কর্মী হয়েও আপনি প্রায় ৩.৮৫ লক্ষ টাকার কর বাঁচাতে পারেন খুব সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে। কর বাঁচাতে চাইলে এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলতে পারেন।
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে পুরনো আয়করের নিয়মের আওতায় এই কর ছাড়ের (Tax Deduction) সুবিধে পাওয়া যাবে। নতুন আইনের আওতায় সেভাবে কর ছাড়ের সুবিধে নেই। আয়কর আইনেই নির্দিষ্ট পরিমাণ কর ছাড়ের উল্লেখ রয়েছে, সেই খাতে আপনিও কর ছাড়ের সুবিধে পেতে পারেন। বাঁচতে পারে ৩.৮৫ লক্ষ টাকা।
৮০সি ধারায় কর ছাড়া
আয়কর আইনের এই ধারায় আপনি সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। জীবনবিমা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ট্যাক্স সেভিং ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করে থাকলে আপনি এই কর ছাড়ের সুবিধে পাবেন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ৩১ মার্চের মধ্যেই এই খাতে বিনিয়োগ করলে কর ছাড়ের আবেদন করা যাবে।
NPS-এ বিনিয়োগে কর ছাড়
আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ৮০ সিসিডি (১বি) ধারার অধীনে NPS-এ বিনিয়োগের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের (Tax Deduction) আবেদন করা যায়।
৮০ডি ধারায় কর ছাড়
চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রেও কর ছাড়ের সুবিধে রয়েছে আয়কর আইনে। নিজের, পরিবারের বা বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য কোনও চিকিৎসা বিমা করিয়ে থাকলে আয়কর আইনের ৮০ডি ধারার অধীনে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা কর ছাড়ের দাবি করতে পারবেন আপনিও। তবে এক্ষেত্রে করদাতার বয়স হতে হবে ৬০ বছরের কম।
৮০এ ধারায় কর ছাড়
সেভিংস অ্যাকাউন্ট অনেকেই খোলেন, আর সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার উপর সুদও পাওয়া যায়। আয়কর আইন বলছে সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার সুদের উপর ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় (Tax Deduction) পাওয়া যায়। তবে এই কর ছাড়ের সুবিধেও পুরনো আয়কর আইনের আওতায় পড়ে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
আয় যেমনই হোক, বেতনভুক করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়কর আইনে একটি নির্দিষ্ট হারে কর ছাড়ের সুবিধে দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম বিনিয়োগ না করেই এই কর ছাড়ের আওতায় যে কোনও করদাতা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বাঁচাতে পারেন। এই সুবিধে একমাত্র নতুন ও পুরনো উভয় আয়করের আওতাতেই প্রযোজ্য হয়।
এভাবে সবকটি ক্ষেত্রে হিসেব করে দেখলে সর্বোচ্চ মোট ৩.৮৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধে আপনি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Govt. Loan Scheme: নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান, সরকার দেবে ১০ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ- কীভাবে পাবেন ?