BLS e Services IPO: আসছে নয়া IPO! সবচেয়ে কম কত টাকায় বিনিয়োগ?
New IPO:এই মাসেই আসছে BLS E Services-এর আইপিও। ৩০ জানুয়ারি সাবস্ক্রিপশনের জন্য খুলে যাচ্ছে এই আইপিও।
কলকাতা: শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের কাছে বরাবরই IPO লোভনীয় সুযোগ। দ্রুত রিটার্ন পেতে অনেকেই আইপিও-তে বিনিয়োগ করে থাকেন। এর আরে সেনকো, সম্প্রতি টাটা টেকনোলজিসের আইপিও-বিপুল রিটার্ন দিয়েছে- ফলে স্বাভাবিকভাবেই এখন যে আইপিও বাজারে আসছে বা অদূর ভবিষ্যতে আসতে চলেছে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
এই মাসেই আসছে BLS E Services-এর আইপিও। ৩০ জানুয়ারি সাবস্ক্রিপশনের জন্য খুলে যাচ্ছে এই আইপিও। ২.৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করা হবে। ৩১০.৯১ কোটি টাকার পাবলিক ইস্যু হতে চলেছে এটি।
রইল খুঁটিনাটি:
৩০ জানুয়ারি সাবস্ক্রিপশনের জন্য খুলবে এই আইপিও। বন্ধ হবে ১ ফেব্রুয়ারি
এই শেয়ারের প্রাইস ব্য়ান্ড ফিক্সড করা হয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের জন্য দাম নির্ধারিত হয়েছে ১২৯-১৩৫ টাকা।
আইপিও-এর মাধ্য়মে BLS E Services বাজার থেকে ৩১০.৯১ কোটি টাকা তুলতে চায়। এই পাবলিক অফারে ২.৩ কোটি শেয়ার ইস্য়ু করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ইকুইটি শেয়ার (প্রায় ২৩ লক্ষ শেয়ার) সংরক্ষিত করা হয়েছে যাঁরা এর প্রোমোটার সংস্থা BLS International-এর শেয়ার হোল্ডার- তাদের জন্য। তাঁরা শেয়ারের দামে বেশ কিছুটা ছাড় পাবেন।
যে পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে, তার মধ্য ৭৫ শতাংশ রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য (institutional investors), ১৫ শতাংশ রাখা হয়েছে অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (non-institutional investors) এছাড়া, ১০ শতাংশ রাখা হয়েছে খুচরো বিনিয়োগকারীদের (Retail Investor) জন্য়।
কোন কাজের লক্ষ্য রয়েছে সংস্থার?
প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য খরচ করা হবে বাজার থেকে তোলা টাকার বেশ কিছুটা অংশ। নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা, অর্গানিক উন্নতির জন্য ফান্ডিংয়ের কাজের জন্য, BLS স্টোর তৈরির জন্য, এছাড়াও আরও কিছু অ্যাকুউজিশনের জন্য এই টাকা খরচ করা হবে।
কত শেয়ারের জন্য আবেদন?
বিনিয়োগকারীদের অন্তত ১০৮টি শেয়ারের লটের জন্য বিড করতে হবে। অন্তত ১০৮টি শেয়ারের লট বা তার গুণিতকে বিড করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ মূল্য হবে মোটামুটি ১৪ হাজার টাকার আশেপাশে।
BLS-E-Service ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার, যেটি একাধিক ব্যাঙ্কে পরিষেবা প্রদান করে। ই-সার্ভিস, ই-গভর্ননেন্স পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হয়। ২০২৩ এর সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থার মোট আয়ের ৬৬ শতাংশ এসেছে অপারেশন থেকে, ২৮ শতাংশের একটু বেশি এসেছে ই-গভর্নেন্স থেকে এবং অ্যাসিস্টেট ই-সার্ভিস থেকে এসেছে ৫.৬১ শতাংশ।