Fake Saline: স্যালাইনকাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি !
Doctors Protest On Fake Saline Incident: স্যালাইনকাণ্ডে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসক সংগঠনের বিক্ষোভে উত্তেজনা....
কলকাতা: মেদিনীপুরে স্যালাইনকাণ্ডে মুচলেকাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। গতকাল স্যালাইনকাণ্ডে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, 'প্রসূতির মৃত্যুতে যাদের গাফিলতি, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে সেই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। কোথায় কেউ এরকম মুচলেকা লিখিয়ে নিলে, তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে।' তবুও থেকে গিয়েছিল প্রচুর প্রশ্ন।
'স্যালাইনেই সমস্যা, নাকি অস্ত্রোপচারেও বিপত্তি? সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালকাণ্ডে রিপোর্ট পেলেই পদক্ষেপ, আশ্বাস মুখ্যসচিবের। এদিকে, বিষাক্ত রিঙ্গার ল্যাকটেটেই বিপত্তি, স্যালাইনকাণ্ডে এদিন প্রাথমিক রিপোর্টে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ! এরপরেই স্যালাইন কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলে বিক্ষোভ। চিকিৎসক সংগঠনের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়েছে।
সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়েছেন এক প্রসূতি। তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তার মধ্য়ে দু'জন ভেন্টিলেশনে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্য়ালের তৈরি রিঙ্গার ল্য়াকটেট ব্য়বহারের ফলেই এই পরিণতি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা? কারা এই ঘটনার জন্য় দায়ী? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছেন মুখ্য়সচিবও। তাঁর মুখে শোনা গেছে পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ।
গতকাল মুখ্য়সচিব বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর গাফিলতি রয়েছে ইউনিটের, যাঁরা তখন ডিউটিতে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, আমরা আরও বিশদ তদন্ত করার জন্য়, নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে যেটা হয়, সবসময় একজন সিনিয়র ডাক্তারের উপস্থিতিতেই এটা করা হয়। কিন্তু, ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ট্রেনি চিকিৎসক, ওরাই এটা সামলেছেন। সেজন্য় আমরা মনে করি, এটা স্ট্য়ান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর এবং গাইডলাইন অনুযায়ী হয়নি।
এরপরই গতকাল শুভেন্দু অধিকারী সোশাল মিডিয়ায় লেখেন,মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ, মনে হচ্ছে, আপনি এবং স্বাস্থ্য়সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম চাইছেন, মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজের ঘটনার পুরো দায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিষয়ক বিভাগের দিকে ঠেলে দিতে। আপনাদের পরিকল্পনা হল, জুনিয়র এবং ট্রেনি চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলা।সাংবাদিক বৈঠকে 'গাফিলতি' শব্দটা একাধিকবার বলা, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। '
আরও পড়ুন, প্রসূতি মৃত্যুর পর চালু বিকল্প স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস রোগীর পরিজনদের !
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)