Recruitment Scam Case : ১৫ ঘণ্টা পর ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়ি থেকে বেরোল ইডি, কী প্রতিক্রিয়া সুজয়কৃষ্ণের ?
SujayKrishna Bhadra : সুজয়কৃষ্ণর ফকিরপাড়া রোডের বাড়ি, বেহালার ফ্ল্যাট ও দুটি অফিসে চলে তল্লাশি
কলকাতা : ১৫ ঘণ্টা পর ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে বেরোল ইডি (Enforcement Directorate)। নিজাম প্যালেস থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বেরনোর কিছুক্ষণ পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (SujayKrishna Bhadra) বাড়ি থেকে বের হয় ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam Case) সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। সুজয়কৃষ্ণর ফকিরপাড়া রোডের বাড়ি, বেহালার ফ্ল্যাট ও দুটি অফিসে চলে তল্লাশি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই, সেদিন একই মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকুর বাড়ি, অফিস, ঘনিষ্ঠের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালাল আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ মাসের শুরুতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেদিন তাঁর ২টো মোবাইল ফোন, অ্যাডমিট কার্ড, একাধিক নথি এবং টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনই তাঁর বাড়িতে হানা দিল ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন সাত সকালে অভিযানে বেরিয়ে পড়ে ইডির একাধিক টিম। তার মধ্যে ইডি আধিকারিকদের তিনটি দল ঢুকে যায় বেহালার দিকে। শনিবার, সকাল ৭টায় ১৭বি/১ ফকিরপাড়া লেনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাধারাণী নামে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়িতে আসেন তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে চলে যান ইডির আধিকারিকরা।
ইডির অপর একটি টিম চলে যায় ১১৮ নম্বর ফকিরপাড়া রোডের ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে। এই অ্যাপার্টমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে S D কনসালট্যান্সির অফিস। যার নেমপ্লেটে রয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের নাম ! এই অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক উল্টোদিকের গলিতে ঢুকে যায় ইডির তৃতীয় টিম। গন্তব্য ১৫৭ ফকিরপাড়া রোড। সেখানে কোনও সূত্র না পেয়ে ইডির অফিসাররা পৌঁছন ৪০বি/১ ফকির পাড়া রোডে। এখানেই মেলে archieve কনসালট্যান্সির আরও একটি অফিস !
ফকিরপাড়া রোডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ঘনিষ্ঠ প্রণব দে-র দুটি ফ্ল্যাটেও এদিন অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির চার্জশিটেও উঠে এসেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। ১৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর, রাত ১০টা নাগাদ, সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি থেকে বের হন ED আধিকারিকরা। বিভিন্ন নথিপত্র ছাড়াও, তাঁর একটি মোবাইল ফোন ED বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।
আর এদিন তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর ইডি সূত্রে দাবি, নামে-বেনামে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ১২টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তবে আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। সূত্রের দাবি, এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা নিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে সুজয় ভদ্রের গলায়। এখন এই টাকার উৎস কী ? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা কোনওভাবে এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে সাদা করা হয়নি তো ? সূত্রের খবর, সেসব বিষয়ই খতিয়ে দেখছেন ইডির অফিসাররা।