Pingla News: বাড়ির তৈরির গর্ত খোঁড়ার সময় মিলল পুরনো সুড়ঙ্গের খোঁজ, কী হল তারপর...
West Medinipur News: পিংলায় একটি পুরনো বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে সন্ধান মিলল একটি পুরনো সুড়ঙ্গের। যার খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
বিশ্বজিৎ দাস, পিংলা: পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় (Pingla) বাড়ির তৈরি গর্ত করার সময় দেখা মিলল প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট একটি গর্ত। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গ্রামের লোকেরা এই গর্তটিকে সুরঙ্গ (Ancient Tunnels) বলেই অনুমান করছেন। আর তা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন পিংলার বাসিন্দা অনিমা ঘোষের বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের রাজবল্লভ এলাকার বাসিন্দা অনিমা ঘোষের পাকার বাড়ির তৈরির কাজ করার জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। কদিন ধরে ভিত খোঁড়ার পর আজ সকালেই দেখা গেল একটি বড় লম্বা গর্ত। এই দেখে এলাকার লোকেরা সুড়ঙ্গ বলে অনুমান করছেন। চুন সুরকি ও পাতলা ইঁটের তৈরি এই গর্তের চারদিকে দেওয়াল আছে। বাড়ির মালিক বলেন, এটা জমিদারদের জায়গা ছিল এখানে পুরনো মন্দির ছিল বলে শুনেছি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনিমা ঘোষের বাড়ীতে লোকজনের জমতে ভিড় শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পিংলার বিডিও-কে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর মঙ্গলবার বিকেলে পিংলার বিডিও যেখানে সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে সেই জায়গাটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে পিংলার বিডিও লেপকা ওয়াংচু শেরপা বলে, একটি বাড়ির ভিত খোঁড়ার সময় ১৫ ফুট দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গের খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু, কোনও উল্লেখ্যযোগ্য কোনও নমুনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবু আমরা কিছু ছবি তুলে কয়েকজন বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছি তাঁদের মতামত জানার জন্য। তবে মনে হচ্ছে না সেরকম উল্লেখযোগ্য কিছু আছে। সুড়ঙ্গের জায়গাটুকু বাদ দিয়ে বাড়ির কাজ চলতে পারে।
এপ্রসঙ্গে বাড়ির মালিক অনিমা ঘোষ বলেন, "পুরনো বাড়ির পাশে ভিতের গর্ত করার সময় একটি মুখে সুড়ঙ্গ পাওয়া যায়। অন্যটিতে সিঁড়ির ধাপ রয়েছে। মাটি খুঁডলে প্রাচীন দিনের ইট বেরোচ্ছে। এখানে বহু পুরাতন একটি মন্দির ছিল বলে শুনেছি। সুড়ঙ্গটা প্রায় ১৫ ফুট দীর্ঘ। তারপর সুড়ঙ্গ শেষ হয়ে গিয়েছে। সুড়ঙ্গের চারদিকে ইট দিয়ে গাঁথা আছে। পিংলা থানার বড়বাবু এসেছিলেন। তিনি বললেন, এটা পুরনো দিনের নিকাশি ব্যবস্থা হতে পারে। বিডিও সাহেবও এসে দেখে গেছেন। উনি সন্ধ্যাবেলা কী করতে হব তা জানাবেন বলেছেন।"
ওই বাড়ির এক সদস্য সনৎ ঘোষ বলেন, "আমাদের দাদু-ঠাকুমার মুখে শুনেছিলাম ওখানে একটা মন্দির ছিল। এখন ওই ধ্বংসাবশেষের ইট বেরোচ্ছে। যত খোঁড়া হচ্ছে তত পুরনো আমলের ইট বেরোচ্ছে। সুড়ঙ্গ ওপরে আছে। মনে হচ্ছে মোগল আমলে লুকোনোর জন্য বা জিনিসপত্র রাখার জন্য ওই গুপ্ত জায়গা করা হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Kolaghat News: কোলাঘাটের ছাই খাদানে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কটাক্ষ বিজেপির