(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Ham Radio Security Device : পকেটের মধ্যেই ছোট্ট যন্ত্র, বোতাম টিপলেই দিকে-দিকে পৌঁছবে বিপদ-সঙ্কেত, নারী সুরক্ষায় হ্যাম রেডিওর বিশেষ প্রস্তাব রাজ্যকে
সিংহ ভাগ হাসপাতালেই সব জায়গায় ফোনের টাওয়ার নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না । সেক্ষেত্রে হাসপাতালের এমন কোনও ঘরে যদি বিপদে পড়েন কোনও মহিলা চিকিৎসক, তাহলে তো তিনি ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর থেকে নজিরবিহীন প্রতিবাদে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নির্যাতিতার বিচার ও হাসপাতালের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার মতো ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে টানা ৪২ দিন আন্দোলন চালিয়ে যান তাঁরা। হার-না-মানা সংকল্প নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর শেষমেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর, হাসপাতালের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মুখ্যসচিব। সেদিনই কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ঘোষণা করা হয় প্রতিবাদীদের তরফে।
মুখ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ ছিল, হাসপাতালে অন ডিউটি রুম, শৌচালয়, সিসিটিভি, পানীয় জলের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সক্রিয় হতে হবে কমিটিকে। সেই সঙ্গে প্যানিক কল বাটন অ্যালার্ম সিস্টেম দ্রুত চালু করার কথাও উল্লেখ ছিল ।এবার সেই প্যানিক কল বাটন অ্যালার্ম নিয়েই রাজ্যকে চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব । তারা জানায়, এমনই একটি প্যানিক বাটন তৈরি করে হাসপাতালের মহিলা ডাক্তার ও কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় তারা।
রাজ্যকে লেখা চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, সিংহ ভাগ হাসপাতালেই সব জায়গায় ফোনের টাওয়ার নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না । সেক্ষেত্রে হাসপাতালের এমন কোনও ঘরে যদি বিপদে পড়েন কোনও মহিলা চিকিৎসক, তাহলে তো তিনি ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। এছাড়া কেউ আক্রান্ত হলে তিনি কি তখন পারবেন কাউকে ফোন করতে ?
এই পরিস্থিতিতে 'হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব'-র পক্ষ থেকে সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতরকে একটি প্রস্তাব দেন। তাঁরা জানান, হ্যাম রেডিওর কাছে এমন একটি হ্যান্ড সেট আছে যা তাঁরা ব্যবহার করে থাকেন। এটি মোবাইল ফোনের থেকেও ছোট , যা সহজেই রাখা যায় পকেটে। তার সাইডে একটি প্যানিক বোতাম আছে, যা পকেটের মধ্যেই থাকা অবস্থাতেই একবার চাপ দিলে সঙ্কেত পৌঁছে যাবে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যাবে । সংস্থা জানিয়েছে, এই রেডিও ডিভাইস থেকে জরুরি সঙ্কেত পৌঁছে যেতে পারে স্থানীয় থাকা, কলেজ কর্তৃপক্ষ বা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে।
হ্যাম রেডিওর পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি, এটি পাওয়া যেতে পারে ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রকের ডি পি এল লাইসেন্স হোল্ডার এর কাছে। কোনও কন্ট্রোল রুমের দরকার নেই। সবাই নিজে থেকেই নিজের বার্তা বা জরুরি সঙ্কেত আদান প্রদানে সক্ষম হবে । শুধুমাত্র চাই সরকারের সবুজসঙ্কেত ।
এখন 'হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব'-র প্রস্তাবে সরকার সাড়া দেয় কিনা সেটাই দেখার।