Kolkata: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া, নিউটাউনে ছেলে ও মেয়ের মৃতদেহ আগলে মা
Newtown News: প্রতিবেশীরা এসে দেখেন ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। তখনই প্রতিবেশীদের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান প্রায় ৪-৫দিন আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সত্য়জিৎ বৈদ্য, কলকাতা: নিউটাউনে (newstown) ছেলে ও মেয়ের মৃতদেহ আগলে মা। নিউটাউনের সিডি ব্লকের ২৫ নম্বর বাড়ির নয়তলা থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে নিউটাউন থানার পুলিশ। ২০১৯ সাল থেকে ভাড়া থাকতেন মা ও দুই ছেলে-মেয়ে। আজ সকালে সাততলায় গিয়ে সাহায্যের জন্য বলেন মা। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। তখনই প্রতিবেশীদের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের অনুমান প্রায় ৪-৫দিন আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আদৌ অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ
এর আগে চলতি বছরেই কল্যাণীতে এই ধরণের খবর সামনে এসেছিল। সেখানে মায়ের মৃতদেহ ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক মাস আগেই মারা যান বৃদ্ধা। সেই থেকে ঘরে দেহটি ফেলে রেখেছিলেন তাঁর ছেলে। অভিযুক্ত যদি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। কী কারমে মৃতদেহ ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কল্যাণী এ ব্লকের ঘটনা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় পাল। কলের পাইপ লাগানোর কাজ করেন তিনি। প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ মাকে নিয়ে ওই এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন তিনি। প্রতিদিন ঘরে তালা ঝুলিয়ে কাজে বেরিয়ে যেতেন ওই ব্যক্তি। কাজ সেরে ফিরে আসতেন বাড়ি।
তবে ওই ব্যক্তি নিয়মিত বাইরে বেরোলেও, তাঁর মাকে খুব একটা দেখা যেত না। বয়সের ভার এবং অসুস্থতার জেরেই বৃদ্ধা বাইরে বেরোন না বলে জানতেন এলাকাবাসী। কিন্তু সম্প্রতি একেবারেই ওই বৃদ্ধার দেখা মিলছিল না। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে, স্থানীয়দের অভিযুক্ত জানান, একেবারেই হাঁটতে পারছেন না বৃদ্ধা। প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বার বার জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্ত প্রশ্ন এড়িয়েও যেতেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরো পড়ুন: হোলির আগে সুখবর, ফিরছে অসংরক্ষিত কামরা