Durga Puja 2022 : শ্রদ্ধাবনত তর্পণে পূর্বপুরুষ-আত্মার তৃপ্তি, কী লাভ ? কীভাবে জল-অন্নদান
Mahalaya 2022 : তর্পণের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের বিদেহী আত্মাকে পিতৃলোক থেকে আরও উত্তমলোকে স্থিত করার রীতি-রেওয়াজ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
কলকাতা : ওঁ (নমঃ) যে বান্ধবাহবান্ধবা বা, যেহন্য জন্মনিবান্ধবাঃ I তে তৃপ্তিং অখিলাং যান্তু যে চাস্মত্তোয় কাঙ্খিনঃI
অর্থাৎ যাঁরা আমাদের বন্ধু ছিলেন এবং যাঁরা বন্ধু নন, যাঁরা জন্ম-জন্মান্তরে আমাদের বন্ধু ছিলেন এবং যাঁরা আমাদের কাছ থেকে জল চান, তাঁরা সম্পূর্ণভাবে তৃপ্তিলাভ করুন।
(Mahalaya Tarpan) তর্পণের অন্তরের কথা তৃপ্তিদান। হিন্দু-মনে বিশ্বাস, শাস্ত্রকথা মতে পরলোকগত প্রিয়জনের আত্মার তৃপ্তিদানে জলদানের রীতিতেই লুকিয়ে তর্পণের প্রাথমিক তত্ত্ব। ওঁ (নমঃ) অগ্নিদগ্ধশ্চ যে জীবাঃ যেহপ্যদগ্ধা কুলে মম। ভূমৌ দক্তেন তৃপ্যন্তু তৃপ্তা যান্তু পরাং গতিম। অর্থাৎ আমার বংশে যে সকল জীব অগ্নিদ্বারা দগ্ধ হয়েছেন, অর্থাৎ যাঁদের দাহ-সংস্কার হয়েছে এবং যাঁরা দগ্ধ হননি, অর্থাৎ কেউ তাঁদের দাহ-সংস্কার করেনি, তাঁরা আমার এই জল গ্রহণ করে তৃপ্তি লাভ করুন এবং তৃপ্তিলাভের মাধ্যমে পরাগতি অর্থাৎ স্বর্গলোক লাভ করুন।
বিশ্বাস, প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মার বিনাশ নেই। তাই সেই আত্মার তৃপ্তির জন্য শ্রাদ্ধকর্ম উত্তরপুরুষের কর্তব্য। শাস্ত্রমতে জলদান করলে সেই আত্মা তৃপ্তি লাভ করেন। তৃপ্তিদান ও তৃপ্তিলাভ - তর্পণের প্রধান উদ্দেশ্য। শ্রদ্ধাবনত তর্পণে পূর্বপুরুষরা তৃপ্ত হলে ধন, স্বাস্থ্য, আয়ু বৃদ্ধি হয় বলে বিশ্বাস। মেলে শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি।
মহালয়ায় তর্পণ : এক মহালগ্ন মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে জগজ্জননী মা দুর্গার (Durgapuja 2022) আগমনবার্তা জানিয়ে যাওয়া আলোকময় এক দিন। বিশ্বাস, এ দিন পূর্বপুরুষদের আত্মাদের স্ব-স্বলোকে ফিরে যাওয়ার দিনও। দেবীপক্ষের সূচনাও এদিন। তাই এই পুণ্যদিনে সন্তানাদির হাতে জল পেয়ে তাঁরা তৃপ্ত হলে, তার থেকে শুভ আর কিছু নেই।
বিবিধ তর্পণ : শাস্ত্র অনুসারে, যাঁদের বাবা জীবিত আছেন, তাঁরা পিতৃতর্পণের অধিকারী নন। তর্পণের কয়েকটি ভাগ রয়েছে (Mahalaya Tarpan Vidhi) । প্রথমে জলদান করতে হয় দেবতাদের উদ্দেশে (দেবতর্পণ)। রয়েছে মনুষ্যতর্পণ, ঋষিতর্পণ, দিব্যপিতৃতর্পণ, যমতর্পণ, ভীষ্মতর্পণ, পিতৃতর্পণ। যদি কেউ সম্পূর্ণ তর্পণে অক্ষম থাকেন, রাম-তর্পণের বিধি রয়েছে। বিশ্বাস, বনবাসে থাকাকালীন শ্রীরামচন্দ্র এই তর্পণ করতেন। সর্বতর্পণের ফল দানকারী এই রামতর্পণ। আর রামতর্পণেও অসমর্থ হলে, লক্ষ্মণ তর্পণে তর্পণ-ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। রয়েছে অগ্নিদগ্ধাদির তর্পণ ও প্রেত তর্পণ বিধিও।
কুশাঙ্গুরীয়
তর্পণের জন্য কুশ ও কালো তিল, যব জোগাড় প্রয়োজন। কুশ ও তিল না পেলে শুধু জলেও তর্পণ করার রীতি রয়েছে। তর্পণের আগে কুশের আংটি বানিয়ে অনামিকায় পরতে হবে। কোশাকুশিতে তিল, হরিতকী ও জল সহযোগে তর্পণ করতে পারবেন।
মন্ত্রাদি
আচমন, বিষ্ণুস্মরণ, তীর্থ আবাহন ইত্যাদি শেষে দেবতর্পণ করতে হবে । পূর্বমুখে দাঁড়িয়ে করতে হবে তর্পণ। ভিজে বা শুকনো কাপড় পরে জলে দাঁড়িয়ে তর্পণ-বিধি। ব্রাহ্মণদের জন্য বাঁ-কাধে পৈতে রেখে মন্ত্র পাঠ করতে হবে। অন্যদের ওঁ-এর জায়গায় নমঃ বলার রীতি। মন্ত্র বলার সঙ্গে আঙুলের অগ্রভাগ দিয়ে যবসহ এক অঞ্জলি করে জল দিতে হবে। ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্যরা স্তৃপ্যতাম-এর বদলে স্তৃপ্যতু বলবেন। তৃপ্যতু বলবেন, ঋগ্বেদীয় ব্রাহ্মণ এবং যজুর্বেদীয় ব্রাহ্মণগণ।
দেবতর্পণ
মন্ত্র : ওঁ (নমঃ) ব্রহ্মা স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) বিষ্ণু স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) রুদ্র স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) প্রজাপতি স্তৃপ্যতাম্।
তারপর এক অঞ্জলি জল নিয়ে বলতে হবে ওঁ (নমঃ) দেবা যক্ষাস্তথা নাগা গন্ধর্ব্বাপ্সরাসোহসুরাঃ। ক্রুরাঃ সর্পাঃ সুপর্ণাশ্চ তরবো জিহ্মগা খগাঃ। বিদ্যাধরা জলাধারাস্তথৈবাকাশগামিনঃ। নিরাহারাশ্চ যে জীবাঃ পাপে ধর্ম্মে রতশ্চ যে। তেষাঃ প্যায়নায়ৈতৎ দীয়তে সলিলং ময়া।
মনুষ্যতর্পণ
দেবতর্পণের পরে পৈতে গলায় মালার মত ঝুলিয়ে নিতে হবে। অব্রাহ্মণরা উত্তরীয় মালার মতো ঝুলিয়ে নেবেন। তারপরে দু-অঞ্জলি জল কোলের কাছে দেবেন নিম্নলিখিত মন্ত্র পড়ে।
ওঁ (নমঃ) সনকশ্চ সনন্দশ্চ তৃতীয়শ্চ সনাতন । কপিলশ্চাসুরিশ্চৈব বোঢ়ুঃ পঞ্চশিখস্তথা। সর্বে তে তৃপ্তিমায়ান্তু মদ্দত্তেনাম্বুনা সদা।
ঋষিতর্পণ
উত্তরমুখ থেকে ঘুরে ফের পূর্বমুখ হয়ে পৈতে বামকাঁধে রেখে এক অঞ্জলি স-যব জল দিতে হবে। অব্রাহ্মণ এবং ঋগ্বেদীয় ও যজুর্বেদীয় ব্রাহ্মণরা উত্তরীয় বা পৈতে বামকাঁধে রেখে জল দেবেন।
মন্ত্র : ওঁ (নমঃ) মরীচি স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) অঙ্গিরা স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) পুলহ স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) ক্রুতু স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) প্রচেতা স্তৃপ্যতাম্ । ওঁ (নমঃ) বশিষ্ঠ স্তৃপ্যতাম্ । ওঁ (নমঃ) ভৃগু স্তৃপ্যতাম্ ওঁ (নমঃ) নারদ স্তৃপ্যতাম। ওঁ (নমঃ) অত্রি স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) বশিষ্ঠ স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) দেবা স্তৃপ্যতাম্। ওঁ (নমঃ) ব্রহ্মর্ষয় স্তৃপ্যতাম্।
দিব্যপিতৃতর্পণ
বামদিকে ঘুরে দক্ষিণমুখ করে পৈতে ডানকাঁধে রেখে সাতটি মন্ত্র পাঠ করতে হবে। পরে সতিল জল অ়ঞ্জলি দিতে হবে।
ওঁ (নমঃ) অগ্নিষ্বাত্তাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোদকং (সতিলোগঙ্গোদকং) তেভ্যঃ স্বধা।
ওঁ (নমঃ) সৌম্যাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
ওঁ (নমঃ) হবিষ্যন্তঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোকগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
ওঁ (নমঃ) উষ্মপাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
ওঁ (নমঃ) সুকালিনঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
ওঁ (নমঃ) বহির্ষদঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোকগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
ওঁ (নমঃ) আজ্যপাঃ পিতরস্তৃপ্যন্তামেতৎ সতিলোগঙ্গোদকং তেভ্যং স্বধা।
আরও পড়ুন : পিতৃপক্ষ-অবসান দিন আলোকময়, 'শুভ মহালয়া' ভুল নয়
যমতর্পণ
এরপর দক্ষিণমুখে ডানকাঁধে পৈতে/ উত্তরীয় রেখে নিচের মন্ত্র পাঠ করে তিন অঞ্জলি জলদান করতে হবে।
ওঁ (নমঃ) যমায় ধর্মরাজায় মৃত্যবেচান্তকায় চ।
বৈবস্বতায় কালায়, সর্বভূতক্ষয়ায় চ।
ঔড়ুম্বরায় দধ্নায় নীলায় পরমেষ্ঠিনে।
বৃকোদরায় চিত্রায়, চিত্রগুপ্তায় বৈ নমঃ।
পিতৃ-আবাহন
এরপরে তর্পণ সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত ডানকাঁধে পৈতে/উত্তরীয় রেখে নিচের মন্ত্র সহযোগে ভক্তিভরে পিতৃকূলকে আবাহন করতে হবে।
ওঁ আগচ্ছন্তু মে পিতরঃ ইমং গৃহ্নন্তপোহঞ্জলিম্।
অন্যরা বলবেন ওঁ (নমঃ) উশন্তস্ত্বা নিধীমহ্যষ্যন্তঃ সমিধীময়ি উশন্নুশত আবহ পিতৃণ্ হবিষেহত্তবে। ওঁ (নমঃ) আয়ান্তু নঃ পিতরঃ সৌম্যাসোঅগ্নিষ্বাতাঃপথিভির্দেবযানৈঃ। অস্মিন স্বধয়া মদন্তোহধিব্রুবন্তুতে আবস্তুমান্। ওঁ (নমঃ) আগচ্ছন্তু মে পিতরঃ ইমং গৃহ্নন্তপোহঞ্জলিম্।
পিতৃতর্পণ
আবাহন শেষ হলে গোত্র, নাম, সম্বন্ধ সহযোগে যথাযোগ্য মন্ত্রপাঠ করে জলদান করতে হবে। প্রত্যেককে তিন অঞ্জলি করে সতিল জলদান করতে হবে। পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, বৃদ্ধ প্রপিতামহ, অতিবৃদ্ধপ্রপিতামহ, মাতা, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধাপ্রমাতামহ, অতিবৃদ্ধাপ্রমাতামহকে জল দেবেন। কেউ জীবিত থাকলে তাঁকে বাদ দিতে হবে।
সামবেদীয় ব্রাহ্মণ : বিষ্ণুরোম্ অমুক গোত্রঃ পিতঃ অমুক দেবশর্ম্মণ তৃপ্যতামেতৎ সতিলোগঙ্গোদকং তস্মৈ স্বধা।
স্ত্রী লোক হলে - বিষ্ণুরোম্ অমুকগোত্রা মাতাঃ অমুকীদেবী তৃপ্যতামেতৎ সতিলগঙ্গোদকং তস্মৈ স্বধা।
যজুর্ব্বেদীয় ব্রাহ্মণ : বিষ্ণুরোম্ অমুক গোত্র পিতঃ অমুক দেবশর্ম্মণ তৃপ্যস্ব এতত্তে সতিলগঙ্গোদকং তুভ্যং স্বধা।
স্ত্রী লোক হলে - বিষ্ণুরোম্ অমুক গোত্রা মাতঃ অমুকী দেবী তৃপ্যস্ব এতত্তে সতিলগঙ্গোদকং তুভ্যং স্বধা।
ঋগ্বেদীয় ব্রাহ্মণ : বিষ্ণুরোম্ অমুক গোত্রং পিতরং অমুক দেবশর্ম্মাণং তর্পয়ামি এতৎ সতিল গঙ্গোদকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।
স্ত্রী লোক হলে - বিষ্ণুরোম্ অমুক গোত্রাং মাতরম্ অমুকী দেবীং তর্পয়ামি এতৎ সতিল গঙ্গোদকং তস্মৈ স্বধা নমঃ।
শূদ্রতর্পণ : বিষ্ণুর্নমঃ অমুকগোত্রঃ পিতঃ অমুক (পদবীসহ) দাস তৃপ্যস্ব এতত্তে সতিলগঙ্গোদকং তুভ্যং নমঃ।
স্ত্রী লোক হলে - বিষ্ণুর্নমঃ অমুক গোত্রা মাতঃ অমুকী (পদবীসহ) দাস তৃপ্যস্ব এতত্তে সতিলগঙ্গোদকং তুভ্যং নমঃ।
ভীষ্ম-তর্পণ
ব্রাহ্মণগণ পিতৃতর্পণের পরে এবং অব্রাহ্মণগণ পিতৃতর্পণের আগে ভীষ্মতর্পণ করবেন বলে মন্ত্রাদি-পুস্তকে উল্লেখ।
নিচের মন্ত্র সহযোগে এক অঞ্জলি সতিল জল দেবেন।
মন্ত্র : ওঁ (নমঃ) বৈযাঘ্রপদ্য গোত্রায় সাঙ্কৃতি প্রবরায় চ।
অপুত্রায় দদাম্যেতৎ সলিলং ভীষ্মবর্ম্মণে।
প্রার্থনা করবেন
ওঁ (নমঃ) ভীষ্মঃ শান্ত নবো বীরঃ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।
আভিরদ্ভিরবাপ্নোতু পুত্র পৌত্রো চিতাং ক্রিয়াম্।
রাম তর্পণ
কেউ সম্পূর্ণ তর্পণ করতে না পারলে এই তর্পণ করা যেতে পারে। কথিত, বনবাসে থাকাকালীন শ্রীরামচন্দ্র এই তর্পণ করতেন। নিচের মন্ত্র সহযোগে তিন অঞ্জলি জলদান করতে হবে।
ওঁ (নমঃ) আ-ব্রহ্ম ভুবনাল্লোকা দেবর্ষি-পিতৃমানবাঃ।
তৃপ্যন্তু পিতরঃ সর্ব্বে মাতৃ-মাতামহোদয়ঃ।
অতীতকুলকোটিনাং সপ্তদ্বীপ-নিবাসিনাম্।
ময়া দত্তেন তোয়েন তৃপ্যন্তু ভুবনত্রয়ম।
লক্ষ্ণণ তর্পণ
কেউ রাম তর্পণ করতেও অসমর্থ হলে লক্ষ্ণণ তর্পণ করা যেতে পারে। সম্পূর্ণ ফলদায়ীই হবে। মন্ত্র সহযোগে তিন অঞ্জলি জলদান করতে হবে।
ওঁ (নমঃ) আব্রহ্মস্তম্বপর্যন্ত্যং জগৎ তৃপ্যতু।
তর্পণ শেষে যে কাপড় পরে আছেন, তা নিংড়ে জল পায়ে দেবেন না।
জল নিংড়ে মাটিতে ফেলে দিতে দিতে বলবেন ওঁ (নমঃ) যে চাস্মাকং কুলে জাতা অপুত্রা গোত্রি নো মৃতাঃ। তে তৃপ্যন্তু ময়া দত্তং বস্ত্রনিপীড়নোদকং।
পিতৃস্তুতি ও পিতৃপ্রণাম
এরপরে নিম্নলিখিত মন্ত্রে পিতৃস্তুতি ও পিতৃপ্রণাম করবেন
ওঁ (নমঃ) পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্ম্মঃ পিতা হি পরমন্তপঃ।
পিতরি প্রীতি-মাপন্নে, প্রিয়ন্তে সর্বদেবতাঃ।
ওঁ (নমঃ) পিতৃন্নমস্যে দিবি যে চ মূর্ত্তাঃ
স্বধাভূজঃ কাম্যফলাভি সন্ধৌ।
প্রদানশক্তাঃ সকলেপ্সিতানাং
বিমুক্তিদা যেহনভিসংহিতেষু।।
এর পরে পূর্বদিকে মুখ করে সূর্যপ্রণাম করবেন। এরপরে বৈগুণ্য সমাধান শেষে দশবার শ্রীবিষ্ণু মন্ত্র জপ করতে পারেন।
ডিসক্লেমার : উপরিউক্ত মন্ত্রাদি পাঠ ও প্রয়োগহেতু উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।