Mysterious Consent: প্রসবের পরেই প্রসূতিদের পরিবারকে দিয়ে লেখানো হয়েছিল মুচলেকা, মানলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক
Saline Controversy: কে বা কারা এই মুচলেকা লিখিয়েছেন? রোগীর পরিবারকে এর জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়েছিল কি? কেন রোগীর পরিবার এমন নজিরবিহীন মুচলেকা লিখতে বাধ্য হল? এইসব প্রশ্নই এখন বারবার উঠছে।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনকাণ্ডে এবার মুচলেকা-রহস্যের অবসান। প্রসূতিদের পরিবারকে দিয়ে লেখানো হয় মুচলেকা, মানলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ। রাজ্য সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিল তারাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছে এই মুচলেকার প্রসঙ্গ। তদন্তকারী কমিটির অনুমান ছিল, সম্ভবত প্রসবের পর প্রসূতির পরিবারকে দিয়ে এই মুচলেকা লেখানো হয়েছে। সেই অনুমানই সত্যি হল। সাধারণত রোগীর পরিবারকে বিভিন্ন সম্মতিপত্রে সই করানো হয় চিকিৎসা শুরুর একদম আগে। এভাবে চিকিৎসার পর মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন, বলেছেন তদন্তকারী কমিটির সদস্যরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেছেন, মুচলেকা লেখানো হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ গর্হিত ব্যপার। আমরা বিস্মিত। ওই ব্যাচ নম্বরের ওই আরএল- এর ওষুধে যে রিঅ্যাকশন হতে পারে তা আগে থেকে জানা কীভাবে সম্ভব? এটা সন্দেহের ব্যাপার। এভাবে যে লেখানো যায় তা এত বছরের ডাক্তারি জীবনে কখনও দেখেননি তিনি, সেকথাও জানিয়েছেন।
কোন বয়ানে লেখা হয়েছিল মুচলেকা
‘ডাক্তারবাবুর থেকে জানলাম অপারেশনের সময় স্যালাইন বা ইঞ্জেকশনের জন্য রোগী শকে চলে গেছে। সেই কারণে রোগীর প্রস্রাব কম হচ্ছে এবং অত্যধিক রক্তক্ষরণ হতে পারে। রোগীর জীবনহানিরও আশঙ্কা আছে। সব কিছুই জেনেও চিকিৎসার অনুমতি দিলাম’। এই বয়ানের নীচে লেখা ছিল স্যালাইনের ব্যাচ নম্বর।
এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কে বা কারা এই মুচলেকা লিখিয়েছেন? রোগীর পরিবারকে এর জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়েছিল কি? কেন রোগীর পরিবার এমন নজিরবিহীন মুচলেকা লিখতে বাধ্য হল? এইসব প্রশ্নই এখন বারবার উঠছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সময় বেশ কিছু সম্মতি পত্র থাকে। সেটি পড়ে, চিকিৎসার খুঁটিনাটি বুঝে নিয়ে, রোগীর পরিবার সই করে। কিন্তু এই বয়ানে মুচলেকা লেখানো কিন্তু সচরাচর ঘটনা নয় একেবারেই। আর সাধারণত সম্মতিপত্র লেখানো হয় রোগীর চিকিৎসা শুরুর আগে। সেখানে এই ক্ষেত্রে রোগীর বেড হেড টিকিট মানে যেখানে রোগীর কী কী হয়েছে তার যাবতীয় খুঁটিনাটি বিবরণ, সেখানে এমন বয়ানে মুচলেকা লেখার ঘটানো সত্যিই বিস্ময়কর। কে বা কারা এবং কেন এইসব লিখিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী কমিটি। যে ওষুধ বা স্যালাইন সম্পর্কে ওই মুচলেকায় লেখা রয়েছে, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে এই অনুমান কি আগে থেকেই ছিল? থাকলে কেন সতর্কতা নেওয়া হয়নি? জেনেশুনে কেন ব্যবহার করা হল? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে ওই কমিটি।
আরও পড়ূন- নুরুল হক-কে নারায়ণ অধিকারী বানিয়েছিল ধৃত সমীর দাসই ! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
