Naihati Boro Ma : নৈহাটির বড় মা-র নামে ওয়েবসাইট খুলে টাকা নিয়ে 'প্রতারণা', গ্রেফতার অভিযুক্ত !
Naihati News: বড় মা-র মাহাত্ম্য এখন মুখে মুখে। মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না, এই বিশ্বাস থেকেই ঘটে ভক্ত সমাগম।
সমীরণ পাল, নৈহাটি : লাখো লাখো মানুষের আস্থার আশ্রয়। তিনি হয়ে উঠেছেন গোটা নৈহাটির বড় মা। বড়-মা-র টানে সারা বছর দূর দূরান্ত, ভিনরাজ্য, এমনকী বিদেশ থেকেও ছুটে আসেন ভক্তরা। ভক্তমনে বিশ্বাস, বড়-মা'র কাছে সৎভাবে কিছু চাইলে তিনি ফেরান না। বড়-মা'র আশীর্বাদ বর্ষিত হয় ভক্তের উপর। এহেন নৈহাটির বড়মায়ের নাম ও ছবি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি ওয়েবসাইট চলছিল। সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হুগলির রিষড়া থেকে অনেকের কাছ থেকে পুজো দেওয়ার নামে টাকা তুলে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বড়মা পুজো কমিটি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। যার ভিত্তিতে আজ নৈহাটি থানার উদ্যোগে ও রিষড়া থানার সহযোগিতায় সুরজিৎ কুণ্ডু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ও ব্যাঙ্কের পাস বই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার। এই বাক্য এখন মুখে মুখে। শতাব্দীপ্রাচীন দেবী দর্শনে সারা বছর দেশ বিদেশ থেকে ভিড় জমান ভক্তরা। কালীপুজোর দিন বহু ভক্ত হন নৈহাটিমুখী। বড় মা-র মাহাত্ম্য এখন মুখে মুখে। মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না, এই বিশ্বাস থেকেই ঘটে ভক্ত সমাগম। বড় মা বড়কালী নামেও প্রসিদ্ধ। বড় মা-র কাছে অনেকেই দণ্ডি কাটেন ইচ্ছেপূরণ হলে। তার জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট সময়।
এক-দু'জনের নয়। অগুণিত মানুষের মনোস্কামনা পূরণ হয়েছে। কঠিন সময়ে মা-কে ডেকে পেয়েছেন ফল। মা কাউকে নিরাশ করেন না, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন তাঁরা। মায়ের টানে। মনোস্কামনা পূরণ হলে মায়ের কাছে এসে কার্যত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তাঁরা। পুজোর দিনে এত ভিড় হয় যে কাউকে সরানো যায় না। এমনকী তারাপীঠ-দক্ষিণেশ্বরের থেকেও বেশি ভিড় হয় বলে জানিয়েছিলেন নৈহাটির বড় মায়ের পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছিলেন, "কালীপুজোর দিন এই জায়গাটায় একটা অন্য রূপ চলে আসে এখানে। ওই সময় দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠে যেরকম একটা রূপ আসে, মানুষের শুধু মাথা...সেরকম মাথা। ফুল, মালা, ডালা নিয়ে এসে মায়ের সামনে পড়ে আছেন। আর এখানে ১০-১৫ হাজার লোক দণ্ডি কাটছেন ! এই রাস্তার উপরে আমাদের পুরো প্রশাসন কার্পেট পেতে দেন। হাজার হাজার লোক দণ্ডি কাটছেন মায়ের কাছে। সেখানে কিছু লোক পেয়ে গেছেন, কিছু লোক পাবেন। মায়ের কাছে আসবে, মায়ের পায়ের তলায় দণ্ডিটা শেষ করবেন, পুজো দেবেন। আমাদের প্রধান আকর্ষণ, মা-কে গয়না পরানো। ওই সময় আপনি কাউকে সরাতে পারবেন না। এক একটা স্তম্ভ। এক একটা মানুষ এক একটা স্তম্ভ হয়ে যায়। আমি ঠেললেও সরবে না।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।