School Fees: বেতন সমস্যায় বেসরকারি স্কুল আটকানো যাবে না কোনও পড়ুয়ার প্রমোশন, নির্দেশ হাইকোর্টের
School Fees: স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, কোন পড়ুয়ার মার্কশিট আটকানো যাবে না।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যের ১৪৫টি বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়ার প্রোমোশন আটকাতে পারবে না। স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, ''কোন পড়ুয়ার মার্কশিট আটকানো যাবে না। সব পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে’
সব পড়ুয়াকে তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। কোভিডকালে কোন পড়ুয়া কত বেতন দিয়েছেন তার হিসাব দিতে হবে। আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের হিসেব দিতে হবে। নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত বকেয়া তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক। আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া বেতন নির্ধারণ করবেন তা দিতে হবে অভিভাবকদের।''
হাইকোর্টের বিচারপতি আরও ''যাঁরা কোভিডকালে কোনও বেতন দেননি তাদের নামও নথিবদ্ধ হবে। নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা। অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা। স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে যদি এরকম গণ্ডগোল হয় তাহলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সবসময় নজর রাখা সম্ভব?"
হাইকোর্টের আগের নির্দেশ
মার্চ থেকে দিতে হবে আগের মত স্কুল ফি, নির্দেশ হাইকোর্টের। করোনার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় বেসরকারি স্কুলগুলিকে ২০% ফি মকুব করতে হবে। তবে এবার নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী ৮০% নয়, মার্চ থেকে দিতে হবে পুরো ফি।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
এর আগে করোনাকালে করোনা সঙ্কটকালে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি না বাড়ানোর অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে তিনি বলেন, প্রাইভেট স্কুলগুলোর কাছে অনুরোধ, বেশি ফি নেবেন না। টিচারদের মাইনে, স্কুল মেনটেনেন্স, দারোয়ানের মাইনে - সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের পকেট যাতে কাটা না হয়, সেটা দেখুন। তিনি বলেন, এইসময়ে স্কুল ফি বাড়ানো উচিত নয়। ফি বাড়ানো আমরা সমর্থন করছি না। সামাজিক দায়বদ্ধতা বেসরকারি স্কুলেরও আছে। ৩ মাস তো লাইব্রেরি, কম্পিউটার ব্যবহার হয়নি। সাধারণ পরিবারের পকেট যেন না কাটা হয়। একইসঙ্গে, এটাও মনে করিয়ে দেন, কেউ বলছেন কোনও ফি দেব না, এটা ঠিক নয়। তাঁর মতে, স্কুলকেও তো শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে। কিন্তু স্কুলের ফি বাড়াবেন না, আগেরটাই নিন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, একলব্য স্কুল চালাবে রাজ্য সরকার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের অধিকার খর্ব করতে চাইছে কেন্দ্র। মমতার ঘোষণা, ‘তফসালি উপজাতিদেরও বৃত্তি দেবে রাজ্য। কেন্দ্র বৃত্তির টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই দেবে।’