Jyotipriyo Mullick : কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার ৩ কোম্পানিরই মালিক জ্যোতিপ্রিয়, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির
Ration Distribution Scam : ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মন্ত্রীর স্ত্রী মণিদীপা, মেয়ে প্রিয়দর্শিনী-সহ অন্তত ১০ জন এই ৩ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Distribution Scam) ইডির নজরে থাকা তিন ভুয়ো কোম্পানির মালিক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই ! চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি (ED) সূত্রে দাবি, শুধু প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীই নন, এই ভুয়ো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁর স্ত্রী, মেয়ে-সহ অন্তত দশজন।
শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে প্রথম থেকেই ED'র রেডারে এই তিন ভুয়ো কোম্পানি। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে। নাম জড়িয়েছে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mullick)।
এই প্রেক্ষাপটে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির কারণ হিসেবে বিস্ফোরক দাবি করা হল ED সূত্রে। বলা হচ্ছে, এই তিন সংস্থা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই। তবে তিনি একা নন, ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মন্ত্রীর স্ত্রী মণিদীপা, মেয়ে প্রিয়দর্শিনী, প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও তাঁর পরিবার, মন্ত্রীর শ্যালক অশোক সেন, বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস-সহ অন্তত ১০ জন এই ৩ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ED সূত্রে আরও স্পষ্ট করে দাবি করা হয়েছে, খোলা বাজারে রেশন বিক্রি করার টাকা, বাকিবুর রহমানের মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে গেছে এবং মন্ত্রী সেই টাকা তিন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে নয়ছয় করেছেন। একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৬ কোটি টাকা মন্ত্রীর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ৭৯ টাকা জমা পড়েছিল।
রবিবার বেশকিছু নথি নিয়ে CGO কমপ্লেক্সে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে। কিন্তু সূত্রের দাবি, তদন্তকারী অফিসার না থাকায়, কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারাতে দেখা যায় মন্ত্রীকন্যাকে।
এদিকে, এবার বাকিবুরের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। বাদুড়িয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিঘার পর বিঘা জমি হুমকি দিয়ে কম টাকায় লিখিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইতিমধ্যে একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালা, কর্পোরেট অফিস, একাধিক সংস্থা ও দুবাইয়ে জোড়া ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছিল ইডি। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের চোখ কপালে তোলার মতোই সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন- রেশন-দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা 'স্থিতিশীল', খবর হাসপাতাল সূত্রের