Purba Medinipur:মাসখানেকের মাথায় ফের শ্রমিক বিক্ষোভ, অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে
Haldia Port: শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে। হলদিয়া বন্দরের বিভিন্ন বার্থে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো ও তা অন্যত্র পাঠানোর বরাত রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থার।
![Purba Medinipur:মাসখানেকের মাথায় ফের শ্রমিক বিক্ষোভ, অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে Work Stopped At Haldia Port Due To Workers Agitation And Strike Purba Medinipur:মাসখানেকের মাথায় ফের শ্রমিক বিক্ষোভ, অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/12/12/c03fbae84b91c3b45ad100bc580f80561702404883487482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা হলদিয়া বন্দরে। হলদিয়া বন্দরের বিভিন্ন বার্থে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো ও তা অন্যত্র পাঠানোর বরাত রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থার। সেই সংস্থার অধীনে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এঁরা মূলত বন্দরের ভিতরে, বিভিন্ন বার্থে এই কাজ করে থাকেন। এই শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের পে স্লিপে পিএফের জন্য বেশি পরিমাণ টাকা কাটা হচ্ছে এবং বেসিক স্যালারি বেশি অঙ্কের দেখানো হচ্ছে।
বিশদে...
যে ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন, তার 'রিপ্লে এন্ড কোম্পানি'। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা আদতে ৯ হাজার টাকা করে বেতন পেলেও পে -স্লিপে ১৫ হাজার টাকা করে দেখানো হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে তাঁরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি এ.এম এন্টারপ্রাইজ নামে আর এক ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকরা কাজ করছেন না বলে খবর। এই সংস্থার শ্রমিকরা বন্দরের পণ্য পরিবহণের দায়িত্বে রয়েছেন।
পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থা 'রিপ্লে এন্ড কোম্পানি'-র অবশ্য দাবি, শ্রমিকদের অভিযোগ ঠিক নয়। লেবার কমিশনের আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ পেনশন সুরক্ষিত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা বন্দরের পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছেন, সেই শ্রমিকরাও কাজ করছেন না। সব মিলিয়ে আজকের এই শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ক্ষুব্ধ হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধর্মঘটি শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি বন্দরের কোনো যোগ নেই। একই সঙ্গে এও জানানো হয়, যাঁরা কাজ করবেন না, তাঁদের বন্দরের ভেতরে থাকার কোনও দরকার নেই। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে সিআইএসএফ। দুই ঠিকাদের সংস্থাকে ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আগেও বিক্ষোভ...
গত নভেম্বরেও এক ঘটনা ঘটেছিল হলদিয়া বন্দরে। বস্তুত, গত মাসে, এক সপ্তাহের মধ্যে দু'বার অচলাবস্থা তৈরি হয়। দুই ঠিকাদারি সংস্থার গণ্ডগোলের জেরে ১৩ নম্বর বার্থে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য খালাসের কাজ। দিন দুই পরে সমস্যা মিটলেও ফের ৯ নম্বর বার্থে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য ওঠানো নামানো। হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, ৯ নম্বর বার্থে পণ্য খালাসের দায়িত্ব পেয়েছিল ফাইভস্টার লজিস্টিক কোম্পানি নামে একটি সংস্থা। অভিযোগ তারা বন্দরের বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাতে গেলে গণ্ডগোল বাধে।রিপ্লে নামক ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কর্মরত, বন্দরের ঠিকা শ্রমিকদের দাবি, বন্দরের ভিতরের শ্রমিকদের দিয়েই কাজ করাতে হবে। ফাইভস্টার লজিস্টিক কোম্পানির কর্ণধার শেখ আসরফ আলি বলেন, হলদিয়া বন্দরের নিয়ম মেনে বরাত পেয়েছি। রিপ্লে আমাদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে যে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, তার কর্ণধারের দাবি, এই অভিযোগ সঠিক নয়।
আরও পড়ুন:দুষ্টের দমনে এবার মা কালী রূপে সোহাগ, প্রথম ছবি আনল এবিপি লাইভ
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)