Cruise Drugs Case: 'মুক্তিপণের জন্য অপহরণ আরিয়ানকে', বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতা নবাব মালিকের
Cruise Drugs Case: আরিয়ান খান মাদককাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। গোটা ঘটনাকে 'অপহরণ' বলে দাবি এনসিপি নেতা ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের। গোটা ঘটনায় তিনি দুষেছেন বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজকেও।
নয়াদিল্লি: কর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদককাণ্ডে নয়া মোড়। মাদককাণ্ডে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের (Aryan Khan) গ্রেফতারি নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক (Nawab Malik)। তাঁর দাবি, 'আরিয়ানকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছিল।' শুধু তাই নয়, নবাব মালিকের আরও দাবি, বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ এই "ষড়যন্ত্র"-এ জড়িত এবং সমীর ওয়াংখেড়ের সাহায্যেই তিনি অপহরণ করিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ নবাব মালিকের।
'২৫ কোটি টাকা মুক্তিপণের ছক কষা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত রফা করা হয় ১৮ কোটিতে,' অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। অন্যদিকে নবাব মালিকের বিরুদ্ধেই মাদক কারিবারিদের সঙ্গে যোগসাজসের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন মোহিত কম্বোজ।
নবাব মালিকের দাবি, 'আরিয়ান খান সেদিনের ক্রুজ পার্টির টিকিট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা তাঁকে ওখানে নিয়ে যান। মোহিত কম্বোজের মাধ্য়মে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আরিয়ানকে "অপহরণ" করা হয় এবং মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং ২৫ কোটি টাকার দাবি খারিজ করা হলে ১৮ কোটি টাকায় রফা করা হয়।'
ইতিমধ্যেই আরিয়ান খান মাদক মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে (Sameer Wankhede)। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan) মাদক কাণ্ডের প্রধান তদন্তকারীর ভূমিকায় ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। তবে তাঁকে সেই ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: KBC 13: রোহিত শেট্টির কাছে কাজ চাইলেন অমিতাভ বচ্চন! কী উত্তর পরিচালকের?
মুম্বই থেকে দিল্লি বদলি করা হয়েছে তাঁকে। এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের পদ থেকেও সরানো হয়েছে সমীরকে। নবাব মালিকের জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। আরিয়ানকে ছাড়ার জন্য সাক্ষীর কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এনসিবির কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরেই বদলি করা হয় সমীরকে।