Chandramouli Biswas: অর্থকষ্ট বা অবসাদ নয়, চন্দ্রমৌলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে ছিল অন্য কারণ? প্রকাশ্যে আনলেন তাঁর আইনজীবী
Chandramouli Biswas Death: আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইনি লড়াই চলছিল চন্দ্রমৌলির। সেই মামলার রায় ও বেরিয়ে গিয়েছিল

কলকাতা: অকালে ঝরে গিয়েছে একটা প্রাণ। জীবন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেসিস্ট চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস (Chandramouli Biswas)। রবিবার তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, অবসাদে ভুগছিলেন শিল্পী। কাজ পাচ্ছিলেন না তিনি। ছিল অর্থকষ্টও। কিন্তু আসল বিষয়টা কী? সত্যিই কী হয়েছিল চন্দ্রমৌলির? কেন তিনি জীবন নিয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? সেই কথা সদ্য প্রকাশ্যে এনেছেন চন্দ্রমৌলীর আইনজীবী। জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আইনি লড়াই চলছিল চন্দ্রমৌলির। সেই মামলার রায় ও বেরিয়ে গিয়েছিল। জয়ন্ত নারায়ণের আন্দাজ, এই রায়, খুশি করতে পারেনি চন্দ্রমৌলিকে। আর সেই কারণেই সম্ভবত চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। জয়ন্ত নারায়ণের ধারণা, মনকষ্টে ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলি। আর সেই কারণেই তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন। ঠিক কী লিখেছেন জয়ন্ত নারায়ণ?
আইনজীবীর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, চন্দ্রমৌলি তাঁর কাছে আইনি পরামর্শ চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের সঙ্গীতশিল্পী পরিচয় দেননি। আইনজীবীর পরিচিত এক চিকিৎসকের বংশধর বলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি চলে যাওয়ার পরে আইনজীবীর জুনিয়ররা দিয়েছিলেন তাঁর আসল পরিচয়। এরপরে কেসের সূত্রে জয়ন্ত নারায়ণের কাছে তাঁর আসা যাওয়া লেগেই থাকত। জয়ন্ত নারায়ণের কথায়, 'আমি দেখেছিলাম, একজন ভেঙে পড়া মানুষকে। যে 'অশান্তি' আর নিতে পারছিল না। আমাকে দুঃখের কথা বলতে বলতে তোমার নিজের বুকের উপর ঝুঁকে পড়তো মাথা..... থর থর করে কাঁপতে থাকত, মুখের মাংসপেশী। চোখ থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়ত জল। আমি তোমাকে ভোকাল টনিক দেবার চেষ্টা করতাম। তোমার মধ্যের ভেঙে পড়া মানুষটাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করতাম।'
তবে সেই কেস যে মিটে গিয়েছিল, সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন জয়ন্ত নারায়ন। ২০২৪ সালের শেষের দিকেই সেই কেস মিটে যায়। তবে কেসের রায় ছিল হতাশাব্যঞ্জক। সেই রায়ে খুশি হননি চন্দ্রমৌলি। জয়ন্ত নারায়ণের কথায়, 'আজ লোকে বলছে, আর্থিক কষ্টে ভুগছিলে..... আমি জানি, তুমি মনের কষ্টে ভুগছিলে, অসহায়তা, নিঃসঙ্গতা..... দীর্ঘদিনের চলা মামলা, অবশেষে মুক্তি.... তোমাকে খুশি করেনি.....তোমার হাসি হারিয়ে গিয়েছিল। তুমি দুঃখী হয়ে পড়েছিলে....তুমি ছিলে, আসল শিল্পী, যার মনটাই সব, মন ভেঙ্গে গেলে, যার সব চলে যায়, বাঁচার আগ্রহই চলে যায়'
কিন্ত সত্যিই কী আইনি জটিলতার কাছে হার মেনে নিয়েছিলেন রাজামৌলি? নাকি তাঁর আত্মহত্যার পিছনে ছিল অন্য কোনও কারণ। সেই উত্তর কী আদৌ মিলবে কখনও?
আরও পড়ুন: Rupsa Chatterjee: 'মাতৃত্বের উদযাপন', বেবিবাম্প নিয়ে রূপসা-সায়নদীপের ফটোশ্যুট প্রকাশ্যে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
