Nachiketa Interview: 'কাঁটাতার, মানচিত্রে বিশ্বাস করি না', বাংলাদেশের নদী থেকে জল নিয়ে এসেছিলেন নচিকেতা
Nachiketa Chakraborty: স্মৃতির রাস্তা ধরে হেঁটে যেন অনেকটা দূর পৌঁছে গিয়েছিলেন নচিকেতা। একটু যেন গলা ধরে এল...
কলকাতা: তাঁর জন্ম কলকাতায় হলেও, শিকড় বাংলাদেশে। সেই টানেই বোধহয় মেয়ের নাম রেখেছেন ওপারের নদীর নামেই। ধানসিঁড়ি। প্রথমম জীবনে ওপার বাংলায় যাওয়া না হলেও, পরবর্তীতে কাজের সূত্রে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন নিজের ভিটেতে। বরিশালে গিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল? এবিপি লাইভকে (ABP Live) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শোনালেন নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraboty)।
বাংলাদেশে অনুরাগীদের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক বেশি, এমনটাই মনে করেন নচিকেতা। শিল্পী বলছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আমার যত অনুরাগী রয়েছেন, বাংলাদেশে তার চেয়ে প্রায় আটগুণ বেশি ফ্যান রয়েছে আমার। বাংলাদেশের মানুষ যে আমায় কী ভালবাসেন, বোঝাতে পারব না। তবে আমায় কিছুতেই বেশিদিনের ভিসা দেয় না। বড়জোর ৪-৫দিনের ভিসা পাই, তারমধ্যে ২টো শো থাকে। মূলত সব শো হয় ঢাকায়, কখনও বা চট্গ্রমে। বরিশালে যেতে অনেক সময় লাগে। একদিন বাংলাদেশের বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্প করতে করতে বলছিলাম যে, আমি বরিশালের ছেলে। আমার বন্ধুদের মধ্যে থেকে একজন হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করে দিল যাতে তাড়াতাড়ি যেতে পারি। হেলিকপ্টার যে মাঠে নামল, সেটা বরিশাল হাইস্কুলের মাঠ। হাজার হাজার লোক দাঁড়িয়ে বলছেন, 'আমাগো পোলা, আমাগো পোলা।' ওই স্কুলেই হেডমাস্টার ছিলেন আমার দাদু। ওই স্কুলে আমায় সম্মানিত করা হল। তারপরে আমি বললাম, গ্রামের বাড়ি যাব। কিন্তু রাস্তার এত খারাপ অবস্থা, গাড়ি যাবে না। হেঁটেই যাওয়া শুরু করলাম। কিছুক্ষণ বাদে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখনই দেখলাম, অনেক ছেলে বাইক নিয়ে চলে এল। তাঁরাই বাইকে করে পৌঁছে দিল আমায়। সেই ভিটেয় একটু বসলাম। ওখানকার নদী থেকে এতটু জল নিলাম। সব দেখে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে আমি বলেছিলাম, ওই সম্পত্তি আমার নয়, দাদুর।' (Nachiketa Chakraborty Interview)
স্মৃতির রাস্তা ধরে হেঁটে যেন অনেকটা দূর পৌঁছে গিয়েছিলেন নচিকেতা। একটু যেন গলা ধরে এল। তারপরে বললেন, 'মায়ের মুখে বাংলাদেশের গল্প শুনে শুনেই তো বড় হয়েছি। আমি মনে করি, কাঁটাতার তুলে দেওয়া উচিত। কিছু মানুষ রাজনীতি করবে বলে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে দিল। এই দেশের মানুষের সঙ্গে ওই দেশের মানুষের আবেগ, অনুভূতি, পছন্দ-অপছন্দের কোনও অমিল নেই। আমি মানচিত্রে, কাঁটাতারে বিশ্বাস করি না। আসলে পৃথিবীতে সব মানুষ একই রকম। প্লেট ভেঙে গিয়ে সবাই আলাদা হয়ে গিয়েছে।'
এক মুহূর্ত থেকে নচিকেতা ফের বললেন... আমার একটা কবিতা আছে..
এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি আমি
যে পৃথিবীর শুরু ও নেই শেষ
যে পৃথিবীর সীমান্ত নেই কোনও
যে পৃথিবীর একটা মাত্র দেশ
যদি তুমি সেই পৃথিবী চাও
একটু তবে নিজেকে বদলাও
যে পৃথিবীর তারাই নাগরিক
ভালবাসা যাদের অভ্যেস
আরও পড়ুন: Nachiketa Exclusive: বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন বাবা, অনেককে Sorry বলতে চান নচিকেতা!