Rittika on Poila Baisakh: ছোটবেলায় নববর্ষ মানেই বকা খাওয়া থেকে বিরতি, বাঁধন ছাড়া আনন্দ: ঋত্বিকা
Rittika on Poila Baisakh: 'ওই দিন গোলা খাওয়ার বায়না করলে সেটাও মিলত। তারপর দিদার বাড়ি ঘুরতে যেতাম। সেখানে তো আরও কোনও বকাবকি বা বাধা দেওয়ার কেউ নেই। ফলে ভীষণ মজায় কাটত।'
কলকাতা: নতুন বছর। নতুন আশা। নতুন জামা পরে ঘুরে বেড়ানো। দোকানে দোকানে হালখাতা। আর সেই সঙ্গে দেদার হুল্লোড়-মজা। বাঙালির নববর্ষে (Bengali New Year) এই মোটামুটি চেনা দৃশ্য। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বাঁধা-ধরা হুল্লোড়ে ছেদ তো খানিক হলেও পড়ে। বছরের শুরুর দিনে অভিনেত্রী ঋত্বিকা সেন (Rittika Sen) এবিপি লাইভকে (ABP Live) জানালেন যে কীভাবে ছোটবেলার নববর্ষ কাটাতেন।
ঋত্বিকার ছেলেবেলার নববর্ষ
ছোটবেলার নববর্ষের প্রসঙ্গ উঠতেই বেশ উচ্ছ্বসিত শোনাল অভিনেত্রীকে। বলতে থাকেন, 'এমনি সময় আমার বাইরে বের হওয়ার বিশেষ অনুমতি ছিল না। মা অ্যালাউ করতেন না। কিন্তু পয়লা বৈশাখে পাড়ায় বেরনোয় ছাড় ছিল। বকাবকি কম খেতাম ফলে ওইদিন দুষ্টুমির পরিমাণও বাড়ত। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করতাম, প্ল্যান করতাম কী করব না করব সেই নিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতাম। সেই মজাটা মিস করি।'
আর নতুন জামা? অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, একটা নয়, অনেকগুলো নতুন জামা হত নববর্ষের জন্য। 'ওই দিন গোলা খাওয়ার বায়না করলে সেটাও মিলত। তারপর দিদার বাড়ি ঘুরতে যেতাম। সেখানে তো আরও কোনও বকাবকি বা বাধা দেওয়ার কেউ নেই। ফলে ভীষণ মজায় কাটত।'
আরও পড়ুন: Rittika Sen Exclusive: মুক্তি পেল বাঙালিয়ানায় ভরপুর গান 'এল পয়লা বৈশাখ', গাইলেন ঋত্বিকা সেন
এই বছরে কীভাবে কাটবে ঋত্বিকার নববর্ষ
এবিপি লাইভকে অভিনেত্রী বলেন, 'নববর্ষ এমনিতে তো বাড়িতেই কাটে। তবে এই বছর অনুষ্ঠান রয়েছে কিছু ফলে বাড়িতে নেই আমি। ১৪২৯-এর প্রথম দিন সুন্দরবনের দিকে কাটবে। তবে সাধারণত এই দিন মা বাড়িতে রান্না করেন। আমাদের ছোট পরিবারের। তাই পরিবারের লোকজন মিলেই ছোট করে উদযাপন করি। খাওয়া-দাওয়া আড্ডা হয়। অনেকসময় আত্মীয়রা আসেন।'
প্রসঙ্গত, নববর্ষের প্রাক্কালে নিজের কণ্ঠে গান গাইলেন অভিনেত্রী ঋত্বিকা সেন। নতুন বছরের বিশেষ গানের নাম 'এল পয়লা বৈশাখ'। গান লিখেছেন ও সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন শ্রী প্রীতম। গানের টিজার মুক্তি পায় দিন দুই আগে। চৈত্রের শেষ দিনে মুক্তি পেল গানটিও।