Covid 19:রক্তচাপ বাড়াচ্ছে JN.1 সাব ভ্যারিয়্যান্ট, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের করোনা আক্রান্ত ৬৯২ জন
Corona Cases In India:গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯২ জন। মারা গিয়েছেন ৬ জন। বছরের শেষ লগ্নে কোভিড-১৯-র এই পরিসংখ্যান রক্তচাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের।

কলকাতা: JN.1, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জোর চর্চায় করোনার এই সাব ভ্যারিয়্যান্ট (Covid 19 JN.1 Sub Variant)। পরিসংখ্যানে নজর রাখলে বোঝা যাবে, কেন এই আলোচনা অমূলক নয়। গত কাল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত যা জানা ছিল, তাতে এর মধ্যেই JN.1-এ আক্রান্ত ১০৯ জনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে গোয়ায়। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানাচ্ছেন, সার্বিক ভাবেই দেশের করোনা-চিত্র উদ্বেগের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯২ জন। মারা গিয়েছেন ৬ জন। বছরের শেষ লগ্নে কোভিড-১৯-র এই পরিসংখ্যান রক্তচাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের।
বিশদ...
দীর্ঘ সময় নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক বৃহস্পতিবার সকালে যে তথ্য দেয়, তার পর দেখা যাচ্ছে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪ হাজার ৯৭-তে। মৃত ৬ জনের মধ্যে একজন আবার পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। বাকি পাঁচ জনের এক জন দিল্লি, এক জন কর্নাটক এবং এক জন কেরলে থাকতেন। দু'জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে।
বস্তুত, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যখন এদেশে প্রথম করোনা-আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, তার পর থেকে এই পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজারের। অতিমারির দাপাদাপির স্মৃতি এখনও মেলায়নি। তার মধ্যে সংক্রমণের এমন বাড়বাড়ন্তে প্রমাদ গুনছেন অনেকেই। তবে এবার করোনার যে উপপ্রজাতি এদেশের বাসিন্দাদের কাবু করছে, তার বৈজ্ঞানিক পরিচয় JN.1 variant। উপপ্রজাতিটির স্বভাব-চরিত্র নিয়ে এর মধ্যে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। পরীক্ষা এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর উপর জোর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। একই সঙ্গে বয়স্কদের ক্ষেত্রে আলাদা সতর্কতার কথাও বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার অবশ্য জানাচ্ছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক হতেই হবে। অতীত যাতে ফিরে না আসে, সে জন্য স্ক্রিনিংয়ের উপর জোর দেন কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ বাঘেলও। সবকটি রাজ্যকেও এই মর্মে আরও একবার আর্জি জানান তিনি।
এসবের মধ্যে আশার খবর কি একদম নেই? তা নয়। বাড়বাড়ন্তের এই ছবির মধ্যে আবার এটাও শোনা যাচ্ছে যে দেশে এই রোগ থেকে মুক্তির জাতীয় গড় এখনও ৯৮.৮১ শতাংশ। অর্থাৎ করোনা হলেও তা থেকে মুক্ত হওয়ার হার এখনও আশাব্যঞ্জক। তবে গাফিলতি বা ঢিলেমি দিলে অতীতের ভয়ঙ্কর দিনগুলি যে ফিরে আসবে না, সে কথা কেউই জোর দিয়ে বলতে পারেন না। তাই আশঙ্কা নয়, সতর্কতা জরুরি।
আরও পড়ুন:ED-র চার্জশিটে এবার নাম উঠল প্রিয়ঙ্কার, ‘সব ষড়যন্ত্র’, দাবি কংগ্রেসের
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
